Offbeat

ছবির ধাঁধা : অনেকগুলি ‘666’-এর ভিড়ে লুকিয়ে আছে একটি ‘669’! 15 সেকেন্ডে খুঁজে পেলেই আপনি জিনিয়াস

আজকালকার যুগে সবকিছুর মধ্যেই চ্যালেঞ্জ বিষয়টি ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। এই যেমন ধরুন ভালো রেজাল্ট করে দেখানোর চ্যালেঞ্জ, ভালো পারফর্ম করতে পারার চ্যালেঞ্জ সহ কত কি। আর তাইতো আমাদের প্রতিদিনের জীবনে আমরা কোনো না কোনো কথার ছলে কাউকে না কাউকে চ্যালেঞ্জ করে থাকি। আর সেই চ্যালেঞ্জ জিতে গেলে যে আনন্দ হয় তা ধরে রাখার মতো না। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে অপটিক্যাল ইলিউশন (Optical Illusion) হল তেমনই একটি অনলাইন চ্যালেঞ্জ।

আর যেটি কিনা বাচ্চা থেকে বড় সকলের কাছে ভীষণ মজার একটি গেম। বলা চলে এই অপটিক্যাল ইলিউশন (Optical Illusion) একটি শারীরিক, শারীরবৃত্তীয় এবং জ্ঞানীয় বিভ্রান্তের মতো বিষয়। এই অপটিক্যাল ইলিউশন আসলে আপনার মস্তিষ্কের ভিতরে থাকা জিনিসগুলি উপলব্ধি করার পদ্ধতিকে চ্যালেঞ্জ করে। একজন সাধারণ মস্তিষ্কের মানুষ প্রতিটি কোণ থেকে ভিন্ন ভিন্ন উপলব্ধি পান।

এমনকি সেই অনুযায়ী চিত্রকে ভিন্নভাবে দেখেন। আর তার দেওয়া সেই উত্তরই বলে দেয় তার ব্রেনের কার্যক্ষমতা ঠিক কতখানি। সহজ বাংলায় বলতে গেলে অপটিক্যাল ইলিউশনে (Optical Illusion) থাকা এই পাজেল একজন ব্যক্তিকে নিজে থেকেই কোনো সমস্যা সমাধান করতে পারার ক্ষমতাকে উন্নত করে। এটির মাধ্যমে আপনি খুব তাড়াতাড়ি কোনো একজন ব্যক্তির মনোযোগ ক্ষমতা ও পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ঠিক কতখানি তা বুঝতে পারবেন।

সম্প্রতি নেটমাধ্যমে অপটিক্যাল ইলিউশনের (Optical Illusion) একটি ছবি ভাইরাল (Viral) হয়েছে। যেখানে পরপর সারি ও স্তম্ভ ধরে 666 লেখা রয়েছে। কিন্তু এই 666 এর মাঝেই কোনো একটি সারির কোনো একটি স্তম্ভে 666-এর বদলে 669 সংখ্যাটি লেখা রয়েছে। আর সেটাই আপনাকে ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে খুঁজে বের করতে হবে। আপনি যদি এই ধাঁধার সমাধান খুঁজে পান তাহলে আপনি একজন জিনিয়াস বলা চলে। তবে, এক্ষেত্রে কারও সাহায্য না নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এই সমস্যার সমাধান যদি নিজেই করতে পারেন তবে আপনি আপনার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতাকে উন্নত করতে পারবেন। অনেকেই আছেন যারা কিনা নেশার বসে হোক বা অবসর সময় কাটাতে কিছু না কিছুর উপর নির্ভরশীল হন। আর সেই হিসেবেই মানুষ বেছে নেয় মজার কিছু খেলা। তবে, আজ আপনি যদি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন তাহলে নির্দ্বিধায় বলা যায় আপনি তীক্ষ্ণ মস্তিষ্কের অধিকারী।

চলুন তবে এবার উত্তরটি জেনে নেওয়া যাক

এই ব্রেন টিজারের যে ছবিটি আছে তার ৯ নং সারির ১১ নং স্তম্ভে চোখ রাখলে আপনি পার্থক্যটি ধরতে পারবেন। দেখতে পাবেন যে, 666 সংখ্যাটির মাঝেই 669 সংখ্যাটি লেখা রয়েছে। চলুন এবার মিলিয়ে নিন।