
রাত পোহালেই সরস্বতী পুজো। পঞ্চমী তিথিতে সকল বিদ্যার্থী মায়ের কাছে অঞ্জলি দিয়ে বিদ্যা-বুদ্ধি প্রার্থনা করেন। সকলেই জানেন যে, সরস্বতী পুজোর আগে কেউ কুল খায় না। কিন্তু কেন খায় না তা জানেন কি? আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের সেই নিয়েই জানাবো। পুরানে সরস্বতীদেবীকে তুষ্ট করার জন্য মহামুনি ব্যাসদেব বদ্রিকাশ্রমে তপস্যা করেছিলেন।
আর সেই তপস্যা শুরুর আগে তপস্যাস্থলের কাছে দেবী একটি কুল বীজ রেখে ব্যাসদেবকে একটি শর্ত দেন। বলেন যে, এই কুলবীজ অঙ্কুরিত হয়ে চারা, চারা থেকে বড় গাছ, বড় গাছে ফুল থেকে নতুন কুল হবে। আর তারপর কুল পেকে ব্যাসদেবের মাথায় পড়লে সেই দিন তার তপস্যা পূর্ন হবে। এমনকি দেবী সরস্বতীও তুষ্ট হবেন। দেবীর কথা মতোই ব্যাসদেবও তপস্যা শুরু করেন।
এরপর বছর কয়েক পর বীজ চারা বেরিয়ে সেই গাছ বড় হয়। আর সেই গাছে কুল হয়। এমনকি সেই কুল একদিন পেকে গিয়ে ব্যাসদেবের মাথায় পড়ে। তখন ব্যাসদেবের আর বুঝতে বাকি ছিল না যে, সরস্বতী দেবী তার প্রতি তুষ্ট হয়েছেন। আর সেইদিন ছিল পঞ্চমী তিথি। দেবী সরস্বতীকে কুল নিবেদন করে অর্চনা করে ব্রক্ষসূত্র রচনা আরম্ভ করেন। আর তাতে দেবী তুষ্টও হয়েছিলেন।
আর এই কারনের জন্যই আমরা কুল খাইনা। এমনকি স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে বিচার করলেও সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়া ঠিক না। কারণ মাঘের মাঝামাঝি সময়ে কুলে কষ থাকে। আর যা শরীরের জন্য ভীষণভাবে ক্ষতিকর। আর এই সব মিলিয়েই সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়া ঠিক না।