Weather Update: আকাশ জুড়ে মেঘের ঘনঘটা, এই এই জেলায় শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা, বইবে ঝোড়ো হাওয়া

রবিবার কার্যত আকাশ সকাল থেকেই কেঁদে চলেছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে। আলিপুর হাওয়া অফিস ইতিমধ্যেই বার্তা দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড়বৃষ্টি পূর্বাভাস রয়েছে আজও। আজ এবং আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা আছে। সেই খবর সত্যি করেই সকাল থেকেই কার্যত বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টির খবর আসতে শুরু করেছে।
২২ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবারের পর থেকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কলকাতায় ২২ তারিখ থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলায় বৃষ্টি জারি থাকতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। বাংলাদেশের উপর সৃষ্ট ঘূর্নাবাতের ফলেই এই বৃষ্টি হচ্ছে। রবিবার নদিয়া, বীরভূমে, মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির সাথেই ব্যাপক ঝোড়ো হাওয়া দেওয়ার সম্ভবনা আছে। এছাড়া ঝাড়গ্রাম ও দুই মেদিনীপুরে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতা, হাওড়া, হুগলি সহ সব জেলাতে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে কারণ ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারি ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় সাথে ভারী বৃষ্টি হবার সম্ভবনা থাকছে। হাঁসফাঁস গরম থেকে কিন্তু এই নিম্নচাপ বেশ খানিকটা স্বস্তি দিচ্ছে সকলকে। যে কারণে আজ কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। গতকাল অর্থাৎ শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৪ ডিগ্রি ও নিম্ন ২১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুধু পচিমবঙ্গে নয় এই ঘূর্নাবাতের ফলে ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু থেকে কোঙ্কন হয়ে কর্ণাটক এবং গোয়া পর্যন্ত অক্ষরেখা বিস্তৃত হয়েছে। আরেকটি অক্ষরেখা দক্ষিণ-পূর্ব রাজস্থান থেকে ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবাংলার উপর দিয়ে বিস্তৃত হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ পর্যন্ত। সেইসব স্থানেই কম থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের খবর আসছে। আগামী দুই দিন বৃষ্টিপাতের পরিমান কতটা বৃদ্ধি পায় এখন সেটাই দেখার।