ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে ছাত্রদের শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করতেন শিক্ষিকা
স্কুল আমাদের জীবনে এক বিরাট বড় ভূমিকা পালন করে। আর এই স্কুল এই যদি হয় অনাচার ? শিক্ষক-শিক্ষিকা আমাদের কাছে পূজনীয়। মা বাবার সাথে সাথে তাদের অবদান আমাদের জীবনে অনস্বীকার্য। আমাদের ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠা পর্যন্ত এই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাত আমাদের মাথার ওপর না থাকলে আমরা আমরা কখনোই বড় হতে পারব না। জীবনে চলার পথে প্রথম ধাপ অতিক্রম করেই স্কুলের সাথে সাথে। জীবনের প্রথম পরীক্ষা ও শুরু হয় এই স্কুলকে দিয়ে। পাশ ফেল এই সমস্ত কিছুর সাথে আমরা পরিচিত হতে থাকি স্কুলের হাত ধরে। কিন্তু এই গোঁড়াতেই যদি গলদ থাকে তাহলে কেমন করে চলে? মনে নিশ্চয়ই আপনাদের অনেক প্রশ্ন আসছে? আসাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
টিচারের বাড়িতে না গেলে সেই স্টুডেন্ট কে পাশ করানো হবে না এমনই ধোমকি দিতেন এই শিক্ষিকা। স্কুলে যে বাচ্চাই যেতে রাজি হতেন না সেই টিচারের বাড়িতে তাকেই তিনি ফেল করিয়ে দিতেন।
এমনই এক নিন্দনীয় ঘটনা ঘটেছে কলম্বিয়াতে। এক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদনের মাধ্যমে এই খবরটি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। জানা যায় সেই টিচারের নাম ইসকাওতা। তার বয়স চল্লিশের ও বেশি। এবং এই শিক্ষিকা এতটাই ধূর্ত ছিলেন যে, স্টুডেন্টদের শুধুমাত্র পাস নয় ভাল ফলাফলের ও লোভ দেখিয়ে বাড়িতে আনতেন।
কেউ যদি উনার কথায় রাজি না হত তাহলে উনি তাকে ফেল করিয়ে দিতেন। ঘটনাটি এতদুর পর্যন্ত হলে হয়তো হতো কিন্তু ঘটনা এখানেই শেষ নয়, ইনি মাঝরাতে ছাত্রদের হোয়াটসঅ্যাপে গভীর রাত্রে বিভিন্ন আপত্তিকর ছবিও পাঠাতেন। এই টিচারের এই নোংরামি ধরা পড়ে এক স্টুডেন্ট এর মাধ্যমে। ঘটনা সামনে আসার সাথে সাথেই ইসকাওতা র স্বামী তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেন। এবং ছাত্রদের ওপর যৌন নির্যাতন চালানোর জন্য আদালত থেকে তাকে 40 বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশের আদালত।