এবার পড়বে জাঁকিয়ে শীত, রাজ্যের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
গতকাল সন্ধ্যেবেলা থেকে বয়ছিল শীতল বাতাস। সারারাত বাতাস বওয়া তারপর ভোরবেলাতে শুরু হয় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। সেদিন সকাল ছিল রাতের অন্ধকারের মতো। ছটার পরে বৃষ্টি থেমে যায় কিন্তু তখনো পর্যন্ত আকাশ পরিষ্কার হয়নি। সেদিন গোটা শহর জুড়ে বইছিল শিশিরের শীতল হাওয়া বোঝা যাচ্ছিল যে এবার শীতের আগমন ঘটতে চলেছে। জানা যাচ্ছে যে রবিবার আবহাওয়া 5 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। আবহাওয়া দপ্তর এই মন্তব্যটি করেছেন।
গোটা রাজ্যে শীত পড়ার পূর্বাভাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই সপ্তাহের শেষেই পড়বে শীত। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই উষ্ণতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। এটাও জানা যাচ্ছে যে পূর্বালী হাওয়ার প্রভাব কমতে পারে। উত্তরে উষ্ণতার নামার সাথে সাথে মেঘলা আকাশ ও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। আজ ও কাল দুই দিন এ রকম আবহাওয়া থাকবে জানিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তর।
এমনকি রাজ্যে আরাকবার পশ্চিমী ঝঞ্জা ঢোকার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। এরকম আবহাওয়া দুই বঙ্গের বিরাজমান থাকবে। শুক্রবার কলকাতায় মেঘলা আকাশ থাকার কারণে উষ্ণতা 23 দশমিক 8 ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছিল। আপনি জানলে অবাক হবেন যে এটি স্বাভাবিকের তুলনায় আর ডিগ্রি উপরে। পুরুলিয়া কথা বললে বলা যায় যে শুক্রবার সকালে পুরুলিয়ার আকাশ ছিল কালো। এবং অপেক্ষা শেষ করে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে, তারপর বৃষ্টিপাত হয়।
পুরুলিয়া ছাড়াও চাকদা,কল্যাণী, রানাঘাট, শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর সহ নদিয়ায় বেশিরভাগ জায়গা কুয়াশায় ঢেকে গেছে। যেহেতু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কমে যায় সেহেতু পুরুলিয়া বাসীরা মনে করেন যে আসলেই উষ্ণতা কমে যাবে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং সহ পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।