সুখবর! এবার কড়কড়ে ১০ হাজার টাকা ঢুকবে অ্যাকাউন্টে, কারা পাবেন এই সুবিধা?

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক প্রকল্প চালু করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সদ্যোজাত হোক কিংবা মৃত প্রতিটি ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের সহায়তা পেয়ে থাকেন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা। পড়ুয়াদের জন্যেও একের পর এক প্রকল্প চালু করে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী। আর এবার শিক্ষক দিবসের দিন তিনি পড়ুয়াদের জন্য বড়সড় উপহার নিয়ে হাজির হলেন মুখ্যমন্ত্রী।
শিক্ষার আলো থেকে যাতে কোনোভাবেই পড়ুয়ারা বঞ্চিত না হন সে কারণে একগুচ্ছ উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। আর এবার নয়া উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। খুব শীঘ্রই পড়ুয়ারা হাতে পাবেন 10 হাজার টাকা। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প। আসলে পড়ুয়ারাই হল আগামীর ভবিষ্যৎ। এই কথায় বিশ্বাস করেই একের পর এক উদ্যোগ নিচ্ছেন মমতা।
করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে ঘরবন্দী হয়ে গিয়েছিলেন সাধারণ। একের পর এক স্কুল কলেজের গেটে পড়েছিল তালা। আর এতেই পড়াশোনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছিলেন তরুণ প্রজন্ম। স্মার্টফোন না থাকায় অনেকেই অনলাইনে করতে পারছিলেন না ক্লাস। ঠিক সেই মুহূর্তেই পড়ুয়াদের কথা চিন্তা করে নয়া উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিটি পড়ুয়া যাতে মোবাইল কিনতে পারেন সে কারণে নয়া প্রকল্প খুলে ফেলেন তিনি। পড়ুয়াদের দিকে বাড়িয়ে দেন সাহায্যের হাত।
কীভাবে করা যাবে আবেদন?
এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য পড়ুয়াদের একটি বিশেষ ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। ফর্মটির নাম স্টুডেন্ট ডি সি এফ। স্কুল থেকেই পাওয়া যাবে এই ফর্ম। পড়ুয়ার যাবতীয় তথ্য সেই ফর্মে লিখতে হবে। সঙ্গে জুড়ে দিতে হবে ঠিকানার প্রমাণপত্র এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য।
কারা পাবেন এই প্রকল্পের সুবিধা
‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এবং এই রাজ্যের রাজ্য সরকারের যে কোনো স্কুল কিংবা মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী হতে হবে। এমনকি দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত হতে হবে পড়ুয়াকে। তবেই পাওয়া যাবে এই সুবিধা।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই সুবিধা পাওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে পড়ুয়াদের। যেমন যে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করবেন তার পরিবারের বার্ষিক আয় হতে হবে 2 লাখ টাকার নিচে। মূলত স্মার্টফোন কিংবা ট্যাপ কেনার জন্য এই টাকা দেওয়া হবে পড়ুয়াদের ফলে মোবাইল কেনার পর রসিদ জমা দিতে হবে বিদ্যালয়ে। সমস্ত তথ্য ঠিকঠাক ভাবে যাচাই করার পর তবেই পাওয়া যাবে টাকা।