ওহ লাভলি! এবার নন্দিনীর পাইস হোটেলে হাজির বংক্রাশ মদন মিত্র, দিলেন বিরাট বড় অর্ডার

এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেনসেশন হলেন নন্দিনী দি (Nandini Di)। ডালহৌসিতে তার পাইস হোটেলের কথা এখন আশাকরি কারোরই অজানা নয়। আর এবার সেই দোকানে এসেই পাত পেরে খেলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। এমনকি দিলেন অর্ডারও। রান্না খেয়ে বিধায়ক মশাইয়ের একটাই কথা ‛ওহ লাভলী’। বাবা-মায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বছর দুই ধরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সমান তালে কাজ করে চলেছেন নন্দিনী।
একসময় ফ্যাশান ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করতেন। কিন্তু তারপর বাবার রবারের ব্যবসা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পরিবারে নেমে আসে ঝড়। টাকার জন্য বাড়ি, গয়না, সেভিংস সব বিক্রি করে দিতে হয়। পরিবারের এমন অবস্থা দেখে নিজেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। একসময় প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর বহু কষ্টে পরিবারের সেবায় ফিরে আসেন স্বাভাবিক জীবনে। এমনকি একটা সময় তার মাও অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এই টানা পোড়েনের মাঝেই এই পাইস হোটেল খোলেন নন্দিনী। কোনোক্রমে ২০-৩০ প্লেট বিক্রি করে দিন চলতো তার। কিন্তু হঠাৎ করেই একজন ফুড ব্লগারের হাত ধরেই তিনি উঠে আসেন সংবাদের শিরোনামে। আর তাইতো এখন তার দোকানে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ প্লেট খাবার বিক্রি হয়। আর সেই হোটেলেই হাজির হয়েছিলেন মদন মিত্র। আর সেখানে নন্দিনীর হাতের পালং শাকের তরকারি খেয়ে মুগ্ধ হন বিধায়ক মশাই।
বলেন যে, ‛অসাধারণ, মনে হল বাড়ির খাবার খাচ্ছি’। এমনকি আরও বলেন যে, ‛বিধানসভা থেকে ফিরছিলাম। আগামীমাল আমার এলাকার স্পোর্টস ডে আছে। ওখানের বাচ্চাদের লঞ্চের ব্যবস্থা করার অনুরোধ এল। ভাবছিলাম কোথায় যাব। তখনই আমার সহযোগী ফেসবুকে নন্দিনীর এই পাইস হোটেলের বিষয়টি দেখায়। ওর মুখে সুখ্যাতি শুনে এখানে এসে দেখি তো এলাহী আয়োজন’।
আর তারপরই নন্দিনীর কাছে ৩০০ প্লেট ভাত ও মাংসের অর্ডার দেন মদন মিত্র। জনপ্রিয় এই ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে এমন অর্ডার পেয়ে আপ্লুত নন্দিনী।