
প্রতিদিন সকাল হলেই প্রতিটি বাড়ির রান্নাঘরে যেন দক্ষযজ্ঞ বেধে যায়। কারোর অফিসের খাবার, কারোর স্কুলের টিফিন, কারোর আবার ডায়েটের মেনু তৈরির জন্য হাজার রকমের পদ তৈরি করতে হয়। আর এইসব রান্না করতে গেলে সবার আগে যেটি প্রয়োজন সেটি হল গ্যাস। সেটা না থাকলে মাথায় যেন বাজ পড়ার মতো অবস্থা হয়। কারোর রান্নাঘরে একটি সিলিন্ডার আবার কারোর রান্নাঘরে (Kitchen) আমরা ডাবল সিলিন্ডার দেখে থাকি।
আগেকার দিনে বেশিরভাগ মানুষই উনুনে অথবা স্টোভে রান্না করতো। কিন্তু এখন গরীব থেকে মধ্যবিত্ত হোক বা বড়লোক সব বাড়িতেই LPG গ্যাসের ব্যবহার বেড়েছে। ২০১৬ সালের ১ মে থেকে ২০২৩ সাল অবধি অর্থাৎ এই ৯ বছরে ১৭ কোটিরও বেশি LPG কানেকশন হয়েছে। আর যা বিপদে ফেলতে পারে মধ্যবিত্ত পরিবারকে।
কিন্তু কিভাবে তাই ভাবছেন নিশ্চই? আসলে শোনা যাচ্ছে যে, LPG গ্যাসের দাম নাকি আবারও বাড়তে পারে। এপ্রিলের শুরুতেই গ্যাসের দাম বৃদ্ধি হয়েছিল। যারফলে এখনই গ্যাসের দাম আকাশ ছোঁয়া। বর্তমানে কলকাতায় গ্যাসের দাম ১,১২৯ টাকা। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আবারও যদি মে মাসে গ্যাসের দাম বাড়ে তাহলে যে সাধারণ মানুষের কি হবে সেটাই এখন চিন্তার বিষয়।
এর আগে মানুষকে একটা LPG কানেকশন নেওয়ার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হত। এমনকি একটা গ্যাস পেতেও অনেকদিন সময় লাগতো। তবে, বর্তমানে গ্যাস বুকিংয়ের মাত্র ৩ দিনের মাথাতেই গ্যাস বাড়িতে পৌঁছে যায়। এমনকি সরকারের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, দেশের দারিদ্র সীমার নাগরিকদের আরও সুবিধার জন্য ১৪ কিলো রান্নার গ্যাস ও ১৯ কিলো বাণিজ্যিক গ্যাসের সঙ্গে আরও ৫ কিলো সিলিন্ডারও দেওয়া হবে।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) নিজেই LPG গ্যাসের ব্যবহার বাড়িয়েছেন। ২০১৬ সালের পর থেকে ১০৪ শতাংশ হারে LPG গ্যাসের গ্রাহক বেড়েছে। এমনকি সরকারি তথ্য অনুযায়ী সারা দেশে ৩২ কোটি নাগরিক LPG গ্যাস ব্যবহার করেন। আর এর পিছনে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা (Pradhan Mantri Ujjwala Yojana)। কারণ এই যোজনার হাত ধরে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী দরিদ্র মহিলাদের বিনামূল্যে গ্যাস দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন।