2000 Rs Note Ban : ৩০ সে সেপ্টেম্বরের পরেও বাজারে চলবে ২ হাজার টাকার নোট! জানুন RBI-এর ঘোষণা

গতকাল অর্থাৎ ২৩ সে মে থেকে ২০০০ টাকার নোট বদলানোর কাজ শুরু হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে কিন্তু বেশ শোরগোল দেখা যাচ্ছে। ২০১৬ পরে আবার ২০২৩ পর পর দুবার নোট বদলানোর এই প্রক্রিয়ায় কতটা সুরক্ষিত হচ্ছে এই দেশ? সে নিয়েছে তো ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা চূড়ান্ত আকার ধারণ করেছে। তবে একটি প্রশ্ন অনেকের মাথাতেই ঘুরছে সত্যি কি ৩০ সে সেপ্টেম্বরের পর থেকে ২০০০ টাকার নোট দেশে অকেজো হয়ে যাবে?
১লা অক্টোবর থেকে কি হবে ২০০০ টাকার নোটের?
- RBI গভর্নর সাধারণ মানুষকে বলেছেন তাড়াহুড়ো করে ব্যাংকে গিয়ে নোট বদলানোর কাজ না করতে।
- সেখান থেকে মনে করা হচ্ছে তাহলে কি ২০০০ টাকা শুধুমাত্র বাজার থেকে তোলা হচ্ছে কিন্তু সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করা হচ্ছে না।
- প্রতিটি বাংকে ২০০০ টাকার পরিবর্ত হিসাবে বিপুল অংকের অন্য নোটের যোগান আছে। তাই সাধারণ মানুষের কোনোরকম অসুবিধা হবে না।
- গভর্নর শক্তিকান্ত দাস আসস্ত করেছেন যে ৩০ সেপ্টেম্বরের পরেও নোটগুলি বৈধ থাকবে কিন্তু সাধারণ মানুষ সেগুলি নিজের কাছে রাখতে পারবেন না।
২০০০ টাকার বদলে দেশের মানুষ কি পেতে পারে?
দেশের মানুষ কি আবারো নতুন ১০০০ টাকার সম্মুখীন হতে চলেছে। নাকি কোনো নতুন অংকের নোট বাজারে আনতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাংক। যদিও অনেকের মতেই ১০০০ টাকা বাজারে আনলেই সবথেকে ভালো কাজ হবে।
২০০০ টাকার নোটের সমস্যা গুলি কি কি –
-
- ২০০০ টাকার নোটের সবথেকে বড়ো সমস্যা খুচরো না পাওয়া। ছোট কোনো জিনিস কিনলে দোকানদার কোনোভাবেই ২০০০ টাকা ভাঙিয়ে দিতে চান না। ফলে খুচরো বাজারে খুবই সমস্যা হয়।
- ২০০০ টাকায় মাইক্রো চিপ বা সেন্সর লাগানো আছে এমন কথা শোনা গিয়েছিলো। যে কারণে বেশিরভাগ মানুষ এই নোট নিজের কাছে রাখতেই চান না।
- ২০১৮-২০১৯ সালেই ২০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাংক। ফলে হাটে বাজারে এই বড়ো নোট দেখা যেত না বললেই হয়।
- এই মুহূর্তে জানা গিয়েছে প্রায় ২১, ৪২০ লক্ষ কোটি ২০০০ টাকার নোট ভারতের বাজারে রয়েছে। যা ভারতের মানুষের তুলনায় অনেকটাই কম তা বলার জায়গা রাখে না
- ২০০০ টাকার এক একটি নোট ছাপাতে সাড়ে তিন টাকা মতো খরচ হয়। যা বাজার মূল্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি ভাবা হচ্ছে।
বর্তমানে ভারতের বাজারে ১০,২০,৫০,১০০,২০০,৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট রয়েছে। তবে বড়ো নোট না থাকলে ব্যবসায়ী থেকে যেকোনো বড়ো কাজে অসুবিধা হতে পারে সেই কথাও স্বীকার করছেন অনেকেই। এখন ২০০০ টাকার ভাগ্য কোন দিকে এগোয় তার অপেক্ষাই করতে হবে আগামী ৩০সে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।