বিধান সভা ভোটের আর বেশি দেরি নেই। শুরু হয়ে গেছে ভোটের লড়াই। তাই মানুষের দোর গোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে দলীয় ও বিরোধীদলীয় নেতা নেত্রীরা। মূলত ভোট এলেই রাজ্যে আগমন ঘটে বিরোধীদলীয় কেন্দ্রীয় নেতার, এমনটাই বলতে শোনা গেছে রাজ্যের নেত্রীকে।
কিন্তু তিনি যে সারাবছরই মানুষের সুখে দুঃখে সবসময় পাশে থাকেন তার প্রমাণ তিনি দিয়ে এসেছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। তার উপরে ভোট। এইসময় তো কর্মসূচি বাড়াতে হবে আরও। তবে একা যেন মরিয়া হয়ে উঠেছেন বাংলার অগ্নি কন্যা। কারণ একে একে পাল্টি খাচ্ছে অনেকেই। ইতমধ্যেই অনেক গুরুত্বপূর্ন পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন গুরুত্বপূর্ণ সব আধিকারিকরা। তাই এবার ভোটের লড়াইটা হতে চলেছে হাড্ডাহাড্ডি।
অমিত শাহ এ রাজ্যে সফরে এলেই আদিবাসী বা দরিদ্র পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সারছেন। তাঁর সেই ভোজনের রাজনীতি নিয়ে এর আগেও কটাক্ষ করেছেন মমতা। জে পি নড্ডা, অমিত শাহ-সহ কেন্দ্রের একাধিক মন্ত্রী এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গৃহসম্পর্ক অভিযানে এসেছেন। অনেকে মালদা, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে মাটি কামড়ে পড়েও রয়েছেন। তৃণমূল নেতৃত্ব এ নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, ‘এ রাজ্যের কৃষ্টি, সংস্কৃতি কিছু না জেনে এখানকার মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন বিজেপি নেতারা।’
অপরদিকে, বোলপুরে মমতার মঙ্গলবারের পদযাত্রা থেকে কলকাতায় ফেরার পথে তাঁর বীরভূম সফরের জন্য বোলপুরের বল্লভপুরডাঙা গ্রামের শেষ প্রান্তে তৈরি করা হয়েছিল হেলিপ্যাড। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে ওঠার আগে গ্রামের আদিবাসী জনতার সঙ্গে কথা বলেন মমতা। তবে, আলাদা করে নজর কেড়েছে মুখ্যমন্ত্রীর হঠাৎই গ্রামের চায়ের দোকানে ঢুকে পড়া। মুখ্যমন্ত্রী গ্রামের মোড়ে চলে আসেন। সেখানে পাশাপাশি দু’টি চায়ের দোকান। একটি বাবু-মেনকার, যেটি ‘দাদাবৌদি’র দোকান বলে পরিচিত। চায়ের দোকানে ঢুকে পড়েন তিনি। উনুনে তখন বসানো হয়েছে তরকারি। সেটা দেখা মাত্রই খুন্তি হাতে তুলে নেন মমতা। করতে থাকেন রান্না। গল্প করতে-করতে চা’ও খান। যাওয়ার আগে ৫০০ টাকা দিয়ে যান দোকানিকে। বলে যান, ‘রেখে দাও, মিষ্টি খেয়ো।’ মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে হাতের নাগালে পেয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত গ্রামের বাসিন্দারা।