
গরমটা যে বেশ জাঁকিয়ে পরেছে তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা। তারমধ্যে আবার মাঝেমধ্যে দু-একপশলা বৃষ্টিতে মিলছে স্বস্তির নিঃশ্বাস। বলতে গেলে এখন মরসুম পরিবর্তনের সময়। বাঙালির রান্নাঘরে নিত্যনতুন সবজির আনাগোনা। শরীর সুস্থ রাখতে সবজি খাওয়াটা ডায়েটের অন্যতম প্রধান বিষয়। এমনকি অনেকে মুখের অরুচি ভাব কাটাতে তেতো খাবারও খেয়ে থাকেন।
আর তেতো বলতেই প্রথমে মাথায় আসে উচ্ছে ও করলার কথা। সারাবছর এই সবজি পাওয়া গেলেও মরসুম বদলের সময় এই সবজি খাওয়া কিন্তু অনেক বেশি উপকারী। এতে রয়েছে অনেকগুন। যেমন ধরুন মরসুম বদলের সময় হওয়া জ্বর, সর্দিকাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি থেকে প্রতিরোধ শক্তি তৈরি করে এই উচ্ছে। মরসুম বদলের সময় সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হল ডায়েট। আর সেটা যথাযথভাবে মানলেই আপনি একেবারে ফিট।
তবে, এই জায়গায় দাঁড়িয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে যে, উচ্ছে ও করলার মধ্যে পার্থক্য কি? দুজনকে দেখতেও মোটামুটি এক। এমনকি খেতেও তেতো। দুটোকেই সেদ্ধ অথবা ভাজা দু-রকমভাবেই খাওয়া যায়। তাহলে এর নাম কেন আলাদা? সেক্ষেত্রে বলে রাখি যে, সাধারণত ছোট গুলোকে উচ্ছে বলা হয়। আর বড় গুলোকে করলা বলা হয়। দুটোরই ক্রোমজম সংখ্যা সমান (2n = 22)।
কিন্তু করলার চেয়ে উচ্ছে আকারে ছোট হলেও এর খাদ্যগুণ অনেক বেশি। কেননা উচ্ছের মধ্যে ভিটামিন সি এবং বিটা ক্যারোটিনওয়েডস আছে। যা এলার্জি প্রতিরোধে সহায়তা করে। এমনকি বিভিন্ন উৎসেচকের সক্রিয়তা বাড়িয়ে লিভারকে সুস্থ রাখে। তবে, এর এতো গুনাগুন শুনে আবার বেশি বেশি করে উচ্ছে বা করলা খেতে শুরু করবেন না যেন। অতিরিক্ত কোনো কিছুই খাওয়া কিন্তু একেবারে ভালো হয়।
আর তাইতো দিনে ৩০ থেকে ৪০ গ্রামের বেশি উচ্ছে খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। সবকিছুরই সামঞ্জস্য বজায় রাখা উচিত।