মাত্র ৪০ দিনে হবে বাম্পার ফলন, বাড়িতে খুব সহজে চাষ করুন ঝিঙে, শিখে নিন পদ্ধতি

সবুজ সবজি হিসাবে ঝিঙ্গা -র বিশেষ নাম আছে। তবে জানেন কি এই সবজি খাওয়া আপনার শরীরের পক্ষে ঠিক কতটা উপকারী? নিয়মিত ঝিঙে খেলে পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বাড়ে সাথেই খাবার হজম হয়। ঝিঙেতে উপস্থিত পেপটাইড এনজাইম রক্তের চিনির পরিমাণ কমায়। রক্তের ইনসুলিনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ঝিঙে খুবই উপকারী। তবে জানেন কিভাবে নিজেরাই বাড়িতে জমিতে সুন্দর ঝিঙ্গা চাষ করবেন? কোনোরকম সার নয় পুরো প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে আজ আপনাদের বাড়িতে ঝিঙ্গা চাষ শেখাবো। তাহলে চলুল দেখে নেওয়া যাক-
প্রথমে জমির মধ্যে ১২×১২×১২ ইঞ্চির একটা গর্ত কেটে নিতে হবে। তারপরে এর মধ্যে দোঁয়াশ মাটি ও গোবর সার মিশিয়ে ঝিঙে গাছের মাটি তৈরী করে নিন। এবার বাজার থেকে কিনে আনা ঝিঙে বীজ গুলি ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে সেই মাদার মধ্যে ১-২ ইঞ্চি ভিতরে ভালো করে পুঁতে দিন। দিন দশেক পরেই দেখবেন ঝিঙের চারা গুলি বেরিয়েছে। তারপর থেকে আপনি শুধুমাত্র গাছ গুলির পরিচর্যা করবেন। প্রতিদিন গাছের গোড়ায় জল দেবেন। গাছের পাতায় যদি পোকামাকড়ের আক্রমণ হয় তাহলে কিন্তু অবশ্যই রাশায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করবেন।
তাড়াতাড়ি যদি ফলন চান তাহলে রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে পারেন। তবে অনেকেই চান সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে ফলন করাতে। সেক্ষেত্রে আপনাকে জৈব সার অর্থাৎ গোবর সার ব্যবহার করতে হবে। আর তার সাথেই বাজার থেকে জৈব সার কিনে আনবেন। যার মধ্যে থাকবে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, আয়রন ও জিঙ্ক সহ এমন কিছু উপাদান যা গাছ বৃদ্ধি ও পোকার থেকে বাঁচাবে। দিন পনেরো অন্তর অন্তর আপনি এই সার ব্যবহার করতে পারবেন। আর রোজ শুধুমাত্র জল দিয়ে যাবেন পরিমান মতো।
গাছ বেশি বড়ো হয়ে গেলে বাঁশ আর সুতলি দিয়ে মাচা বেঁধে দেবেন। ৫০ দিনের মাথায় দেখবেন ঝিঙে গাছ বেশ বড়ো হয়ে যাবে। তখন দেখবেন গাছ ভর্তি ফুল এসেছে ও গাছে ধরেছে সবুজ সুন্দর ঝিঙে। এইভাবে সারাবছর আপনি বাড়িতে চাইলেই এই সবুজ সবজিটি চাষ করতে পারবেন। যেমন অল্প খরচ ঠিক তেমনই সম্পূর্ণ প্রকৃতিক উপায়ে চাষের এই ঝিঙে আপনি খেতে পারবেন।
ভিডিও-