গাছের গোঁড়ায় খাবার সোডা দিলে কি হয়? দেখুন নিজের চোখে

ছাদ বা বাগানে গাছ লাগানো যত সহজ, ঠিক তার থেকেও বেশি কঠিন এই গাছ গুলি পরিচর্যা করা। কোনো গাছের পাতা হলুদ তো কোনোটায় আসছে না ফুল। গাছ লাগানোর পর দেখা যায় গাছের চারপাশ থেকে বিভিন্ন আগাছা জন্ম নেয়। এছাড়া গাছে মিলি বাগ, সাদা মাছি, গাছের ফল নষ্ট হয়ে যাওয়া, ফুল ঝরে পড়া, গাছ বৃদ্ধি না পাওয়া এমন হাজারো সমস্যা তো লেগেই থাকে। কিন্তু মাত্র একটি ঘরোয়া উপাদান যদি গাছের উপর সঠিক ভাবে প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে সমস্যা থেকে সমাধান পেয়ে যাবেন।
নিশ্চয়ই ভাবছেন কি সেই উপাদান? তাহলে আপনাদের জানিয়েদি সেই উপাদানটি হলো ‘বেকিং সোডা’। কিভাবে গাছের উপরে প্রয়োগ করবেন এবার দেখে নেওয়া যাক –
১) গাছের চারপাশে আগাছা দূর করতে আগাছার উপর বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিন। দুপুরবেলা কাজটি করলে দেখবেন পরের দিন আগাছা গুলো সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
২) গাছকে পোকামাকড় ও পিঁপড়ের আক্রমণ থেকে মুক্ত রাখার জন্য টবের পাশের মাটিতে বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিতে হবে।
৩) মিলিবাগ, সাদা মাছির আক্রমণ থেকে আপনার গাছকে রক্ষা করতে এক লিটার জলের মধ্যে ১ চামচ বেকিং সোডা, ১ চামচ লিকুইড ডিশ ওয়াশ ও ১ চামচ নিমঅয়েল মিশিয়ে নিন। এবার একটা স্প্রে বোতলে ভরে নিয়ে গাছের উপরে খুব ভালো করে স্প্রে করুন।
৪) গাছকে ফাঙ্গাসের সমস্যা থেকে দূরে রাখতে গাছের গোড়া থেকে দেড় ফুট দূর দূরত্বে বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিন।
৫) অনেকের গাছেই ফুলের কুড়ি ঝরে পড়া ও ফল নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। এর জন্য একটি পাত্র ১ লিটার জল নিয়ে তার মধ্যে হাফ চামচ বেকিং সোডা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। স্প্রে বোতলে ভরে নিয়ে গাছের কুঁড়ির উপরে বিকাল বেলা ভরে নিন।
এবার আপনাদের জানাবো বেকিং সোডার সাহায্যে মাটির পিএইচ (PH) অর্থাৎ অম্লত্বের মাত্রা কিভাবে নির্ণয় করবেন –
১) দুটি আলাদা পাত্রে মাটি নিয়ে নিন। এবার ৫০ মিলি লেবুর রসে ১/২ চা চামচ বেকিং সোডা ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে পাত্রের মাটিতে ঢেলে দিন। বুদবুদ উঠলেই বুঝতে পারবেন সেই মাটি ক্ষারকিয়।
২) অন্য পাত্রে জলের মধ্যে শুধু বেকিং সোডা মিশিয়ে নিয়ে মাটির মধ্যে ঢেলে দিন। সেই পাত্রের মাটি থেকে বুদবুদ উঠেছে তাহলে বুঝবেন মাটিটি ক্ষারীয়।
তবে যদি বুদবুদ না দেখতে পান তাহলে বুঝবেন মাটিটি ক্ষারকিও নয়।