টবে চাষ করুন কাঁকরোল, ফলন হবে দুর্দান্ত, শিখে নিন পদ্ধতি
বছরের এক সময়ের বিশেষ সবজি কাঁকরোল। কাঁকরোল ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় হজমে সাহায্য করে। কাঁকরোল ভিটামিন সি পরিপূর্ণ হওয়ায় প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রূপে কাজ করে। যা শরীরের টক্সিন দূর করে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। সেই জন্যই কাঁকরোল স্থান পেয়েছে খাওয়ার পাতে। তবে জানেন কিভাবে নিজেরাই বাড়িতে টবে দুর্দান্ত কাঁকরোল চাষ করবেন? শুধুমাত্র কিছু জৈব কিংবা রাসায়নিক সার ব্যবহার করে তৈরী করে ফেলতে পারবেন কাঁকরোল চাষের উপযুক্ত মাটি। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমেই আপনাদের দেখাবো কিভাবে করবেন এই সবুজ কাঁকরোলের চাষ।
১) প্রথমে টবের মধ্যে দোয়াশ মাটি ও গোবর সার মিশিয়ে কাঁকরোল গাছের মাটি তৈরী করে নিন। এবার কাঁকরোল গাছের ছোট চারা গুলি দুই থেকে তিন ইঞ্চি মাটির গর্তের ভিতরের মধ্যে ভালো করে পুঁতে দিন।
২) প্রতিদিন নিয়ম করে জল দিন। আর ১০-১২ দিন পরেই দেখবেন করলার চারা গুলি মাটি থেকে বেশ খানিকটা বড়ো হয়ে উঠেছে। এবার নিয়মিত গাছের পরিচর্যা করতে হবে আপনাকে।
৩) তাড়াতাড়ি যদি ফলন চান তাহলে রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে পারেন। তবে অনেকেই চান সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে ফলন করাতে। সেক্ষেত্রে আপনাকে গোবর সার, সবজির খোসা পচিয়ে তরল হিসাবে ব্যবহার করতে হবে আর তা কিন্তু অনেক ধীরে ফলন হবে।
৪) আর রাসায়নিক সার ব্যবহারের ক্ষেত্রে ১৫ গ্রাম ফুরাডান, ৬০ গ্রামের মতো ‘টিএসপি’ সার, ২০ গ্রাম ইউরিয়া সার সাথেই ১০-১৫ গ্রাম ভিটামিন ও পটাস সার নিয়ে একসাথে গাছের পুষ্টির জন্য এই সার মাটিতে মিশিয়ে দিন। এরপরে তিন দিন পর থেকে শুধুমাত্র জল দিয়ে যাবেন পরিমান মতো।
৫) ২৫ দিন পরেই গাছ বড়ো হয়ে গেলে তখন আপনি গাছ গুলি মাচা বেঁধে দিতে পারেন।
৬) এর ২০ দিন পরেই দেখতে পাবেন গাছে বেশ পর্যাপ্ত পরিমানে খাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠেছে সুন্দর সবুজ কাঁকরোল।
৭) গাছে অনেক ফুল থাকবে সেগুলিকেও সুন্দরভাবে পরিচর্যা করে যাবেন।
তাহলে দেখলেন শুধু ঘরোয়া পদ্ধতিতে ও কিছু রাসায়নিক সারের মাধ্যমে খুব সহজেই বাড়িতে টবে ও মাচার সাহায্যে কি সুন্দর টাটকা কাঁকরোলের চাষ করতে পারবেন। আপনিও বাড়িতে চেষ্টা করুন এই উপায়ে আর কাঁকরোল ফলে গেলে Humppy -র প্রতিবেদনকে ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
