বাড়ির টবে ১২ মাস চাষ করুন ক্যাপসিকাম, ফলন হবে দুর্দান্ত, শিখে নিন বিশেষ পদ্ধতি

রান্নায় ক্যাপসিকাম একটা আলাদা স্বাদ নিয়ে আসে। শুধু তাই নয় ক্যাপসিকামে গাছের পাতায় আছে বিভিন্ন পুষ্টি গুন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণও বেশি থাকে। লাল ক্যাপসিকাম খেলে ত্বকের স্বাভাবিকতা বজায় থাকে, চুলের সৌন্দর্য বাড়ে, চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং এতে কোলেস্টেরল কম থাকায় এটি মোটা হওয়ার প্রবণতা কমায়। সবুজ ক্যাপসিকাম একটু অল্প বয়সীদের জন্য উপকারী। তবে আজ আপনাদের শেখাবো কিভাবে বাড়িতে টবে খুব সহজে এই ক্যাপসিকাম চাষ করতে পারবেন।
প্রথমে বাজার থেকে উন্নতমানের ক্যাপসিকাম চারা কিনে আনুন। এবার সেই চারা পুঁতে দেওয়ার আগে মাটি তৈরী করে নিন। ক্যাপসিকাম গাছের জন্য প্রথমে ৩০% গার্ডেন সয়েল অর্থাৎ দোঁয়াশ মাটি নিতে পারবেন। তার সাথেই ৫০% জৈব সার, ১০% বালি ও শেষে ১০% কুচি পাথর দিয়ে দেবেন।
২-৩ দিনের মধ্যেই দেখবেন ছোট চারা গাছ বেশ বড়ো হয়ে গেছে। এর পরে শুধু জল ও পর্যাপ্ত সূর্যের আলোতে রেখে দিতে হবে। ৩০ দিনের মধ্যেই দেখবেন ক্যাপসিকাম গাছে ফুল চলে এসেছে। তখন একটা তুলি ব্যবহার করে ফুলের পরাগায়ন করে দেবেন। সেই সময় শুধুমাত্র পচা তরল জৈব সার দিতে থাকবেন। তার সাথেই দিতে থাকবেন গাছের উপরে নিম তেল।
আপনি চাইলে ক্যাপসিকাম গাছে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে পারেন। ঠিকঠাক পরিচর্যা করলে মাত্র ৬০ দিনের মধ্যেই এই ক্যাপসিকাম পেঁকে গিয়ে আপনার খাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠবে। আর এই ধরণের চাষ আপনি সারাবছর বাড়িতে করতে পারেন। কম খরচ ও সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে নিজের বাড়িতে তবে পাকা ক্যাপসিকাম ফলানো আর কঠিন থাকলো না কি বলেন!