Lice Remove Tips: উকুনের জ্বালায় নাজেহাল! মুক্তি পেতে অবশ্যই ব্যবহার করুন এই ঘরোয়া উপাদান

চুলের মধ্যে উঁকুনের বাসা বাঁধা খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার। কার্যত স্কুল-কলেজে পড়ার সময়ই মাথায় উকুন বাসা বাঁধে। নানা কারণেই মাথায় উকুন হতে পারে। মূলত ছত্রাক সংক্রমণের কারণে, অথবা অন্য ব্যক্তির থেকে মাথায় উকুন ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। মারাত্মক এই পোকা কিন্তু চুলের মধ্যে লুকিয়ে থেকে ধীরে ধীরে রক্ত চুষতে থাকে। তাই বেশি দিন কোনোভাবেই প্রশ্নয় দেবেন না।
অনেকেই বাজারের চলতি শ্যাম্পু সেগুলি ব্যবহার করেন। আদতে কোনো সুবিধা পাওয়া সম্ভব নয়। তবে ঘরোয়া উপায়ে উকুন তাড়ানোর ব্যবস্থা করবেন নাকি একবার। তাহলে চলুন আমাদের প্রতিবেদনের মাধ্যমে দেখে নিন ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে উকুন সম্পূর্ণ রূপে তাড়াতে পারবেন –
১) ভেজা চুল আঁচড়ান – ভেজা চুল আঁচড়াতে বারণ করেন সবাই। তবে মাথায় উকুন হলে অবশ্যই ভেজা চুল আঁচড়াবেন। কারণ চুল ভেজা অবস্থায় উকুন দ্রুত নড়াচড়া করতে পারে না। তাই আঁচড়ালে উকুন উড়ে যাবে।
২) নিম পেস্ট – একটি পাত্রে এক কাপ নিম পাতা নিয়ে জলের মধ্যে ফুটিয়ে নিন। তারপর পাতাগুলো পেস্ট করে নিন। নিম পাতা ফোটানো জলটা ফেলবেন না। নিমের পেস্ট স্ক্যাল্পে ও চুলে লাগিয়ে ২ ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর নিম জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সবশেষে ভালো করে শ্যাম্পু করে ফেলবেন। দেখবেন সব উকুন পালিয়েছে।
৩) চুলে তেলের ব্যবহার – নিজের চুলে খুব ভালো করে নারকেল তেল বা আমন্ড তেল ব্যবহার করুন। তারপরে একেবারে সরু দাঁতযুক্ত চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান। দেখবেন চিরুনিতে উকুন উঠে আসবে।
৪) অ্যালকোহল – শুনতে অবাক লাগলেও মাথায় অ্যালকোহল দিয়ে মালিশ করুন। অ্যালকোহল ব্যবহারে উকুন দম বন্ধ হয়ে মরে যায়। তবে চুলে অ্যালকোহল মাখার কয়েক মিনিট পর জ্বালা হতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে শ্যাম্পু করে নিন।
৫) এসেনশিয়াল অয়েলের ব্যবহার – টি ট্রি অয়েল, ল্যাভেন্ডার অয়েল, নিম অয়েল, পিপারমিন্ট অয়েল এবং নাটমেগ অয়েল উকুন তাড়াতে বিশেষ ব্যবহার করা হয়। নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে এই এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করুন। স্ক্যাল্প ও চুলে ভালো ভাবে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৬) ভিনেগার এবং জল – অর্ধেক কাপ জলে ২ চা চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। তারপরে সেই জল ভালো করে আপনার স্ক্যাল্পে লাগান। কমপক্ষে আধা ঘণ্টা মাথায় রাখুন। তারপরে সরু দাঁত চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান। দেখবেন উকুন নিজের থেকেই বেরিয়েছে আসছে।