শীতকালে বাড়ির টবে চাষ করুন গাঁদা, বড় বড় ফুল পেতে শিখে নিন পদ্ধতি
বাঙালির অতি পরিচিত এবং অনেক প্রিয় ফুল হল গাঁদা ফুল। আজ আপনাদের সামনে এই গাঁদা ফুলগাছ নিয়েই হাজির হয়েছি। শীতকালে অনেকের বাড়িতেই আর কোনো ফুলগাছ থাকুক বা না থাকুক গাঁদা ফুল গাছটা দেখাই যায়,এমনকি যাদের বাগান বানানোর সখ নেই তাদের বাড়িতেও দেখা যায়। শীতের শুরুতে প্রায় সব জায়গাতেই গাঁদা ফুলের চারা কিনতে পাওয়া যায়। তবে বাজারে চারা কিনবার সময় অবশ্যই দেখে নিতে হবে যে গাছটি নুয়ে পড়ে গেছে নাকি। খুব লক্ষ্য করে দেখে তবেই নিতে হবে।জেনে রাখুন,শুধুমাত্র সতেজ ধরনের চারাগাছ গুলিই নেওয়ার যোগ্য।
এই গাঁদা ফুল গাছের জন্য দোআঁশ মাটির প্রয়োজন হয়। তবে এই দোআঁশ মাটি সব জায়গায় পাওয়া যায় না। সুতরাং আমাদের বাড়ির মাটিটিকেই এমন ভাবে যত্ন নিতে হবে যেন মাটিটি অনেকটাই দোআঁশ মাটির মতো হয়ে যায়। তাহলে সবার প্রথমে আপনাদের বলি কিভাবে আপনারা গাঁদা ফুলের জন্য যোগ্য মাটি তৈরি করবেন।
প্রথমে একটি পাত্রে দুভাগ সাধারণ মাটি নেবেন।তবে মাটিটি যেন শুকনো থাকে। এর সাথে নিতে হবে এক ভাগ বালি। এরপর নেবেন একভাগ কম্পোস্ট সার, এক্ষেত্রে আপনারা যেকোনো ধরনের কম্পোস্ট সার ব্যবহার করতে পারেন। তবে গোবরের সার নিতে গেলে অন্ততপক্ষে এক বছরের পুরনো হতে হবে। এরপরে এক ভাগ নেওয়া হচ্ছে কোকোপিট। তবে এই কোকো পিট যদি আপনারা না পান তবে এটা দেবেন না,এটা অপশনাল না দিলেও চলবে। এরপরে সাথে নেওয়া হচ্ছে এক চামচ হাড়ের গুঁড়োর পাউডার। একটি টবের জন্য এক চামচ-ই যথেষ্ট।
এবারে আপনাদের বলে দিই কিভাবে আপনারা টব নির্বাচন করবেন গাঁদা ফুল গাছের জন্য।যেকোনো ছোট-বড় আর মিডিয়াম সাইজের টব আপনার ব্যবহার করতে পারেন। 6 ইঞ্চি,8 ইঞ্চি বা 10 ইঞ্চির টব ও আপনারা ব্যবহার করতে পারেন।চাইলে আরো বড় ব্যবহার করতে পারবেন। এবারে টবের নিচে যেই ছোট্ট ছিদ্রটি থাকে সেটিকে ছোট ছোট পাথরের টুকরো দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এমন করে ঢেকে দিতে হবে যাতে জল ভেতরে ঢুকতে না পারে এবং ভেতরে অতিরিক্ত জলও ধরে রাখতে পারে। এবারে টবটি মাটি দিয়ে ভর্তি করে দিন।
এবারে চারাগাছটি বার করে খুবই আলতোভাবে মাটির মধ্যে বসিয়ে দিন। মনে রাখবেন,খুব জোরে চাপ দেবেন না। খুবই জোরে চাপ দেওয়ার ফলে চারা গাছগুলির ক্ষতি হতে পারে। এবার নতুন চারা গাছটিতে খুব ভালোভাবে জল দেবেন। তবে মনে রাখবেন খুব বেশি জল কিন্তু দেওয়া উচিত হবেনা,সুতরাং খুবই হিসেব করে জল দেবেন। যখন উপরের দিকটা শুকিয়ে আসবে তখনই আবার জল দেবেন। এরপরে গাছটিকে খুবই কম ছায়াতে রাখবেন এবং নিয়মিত সার দিতে থাকবেন তাহলে গাছটিতে অনেক ফুল আসবে এবং গাছটি সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকবে।