পুর ছাড়াই বানিয়ে ফেলুন দুধ পাটিসাপটা, খেতে হবে দুর্দান্ত, শিখে নিন রেসিপি
শীতকাল মানেই তো খাবারের তালিকায় বিশেষ চমক পিঠা। শীতকালের মিঠে রোদে বসে মিষ্টি খেঁজুর গুর দিয়ে পিঠা খাওয়ার মজায় আলাদা। এই শীতের সময় পিঠা তৈরির যাবতীয় জিনিস একদম নতুন পাওয়া যায়। নবান্ন উৎসবও হয়ে থাকে এইসময়। নতুন চাল, খেঁজুর গুড়ের সময় হলো শীতকাল। সামনেই আসছে বাঙালির এক বিশেষ উৎসব পৌষ পার্বণ।
পৌষ পার্বণ মানেই তো বসবে পিঠা খাওয়ার আসর। বানানো হবে কত রকমের পিঠা। তার মধ্যে যদি সব উপকরণ গুলো একত্রিত করে একটা চমকদার পিঠা বানানো যায়! তাহলে কেমন হয়! কোন পিঠার কথা বলছি? দুধ পাটিসাপটার কথা বলছি। যেখানে নতুন চাল হোক খেঁজুর গুর, দুধ সবই থাকবে। আর পুরো তৈরি করার ঝামেলাও নেই, খুবই সহজে চটজলদি বানিয়ে ফেলতে পারেন এই পিঠা। তো শিখে নিন দুধ পাটিসাপটা বানানোর রেসিপি:
দুধ পাটিসাপটা বানাতে প্রথমে একটি পাত্রে এক কাপ চাল ও হাফ কাপ চালের গুঁড়া নিয়ে মিশিয়ে নিন ভালো করে। এরপর একটু একটু করে জল দিয়ে মিক্স করে ব্যাটার বানিয়ে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন রেস্টে। এরপর দোকানের গুড়ের মাখা সন্দেশ একটি পাত্রে নিয়ে ভালো করে মেখে নিন। গুড়ের পরিমাণটা বাড়াতে চাইলে এর মধ্যে ২-৩ চামচ খেঁজুর গুর মিশিয়ে নিন। তাহলে পুর বানানোর ঝামেলায় থাকবে না।
১০ মিনিট পর ব্যাটারটা খুলে একটু মিশিয়ে নিন। এরপর চুলায় প্যান বসিয়ে হালকা সাদা তেল বুলিয়ে নিন। তারপর গোল করে পাটিসাপটা ছড়িয়ে দিন প্যানে। এরপর মাখা সন্দেশের লম্বাটে মুঠি বানিয়ে পাটিসাপটা র মধ্যে দিয়ে পিঠাটি মুরে নিয়ে ভালো করে ভেজে নিন। এরকম ভাবে বানিয়ে ফেলুন সব পাটিসাপটা গুলো।
পাটিসাপটা রেডী হয়ে গেলে প্যানে দুধ ও এলাচ দিয়ে তা গরম করে নিন। ততক্ষন অবধি জ্বাল দিতে থাকুন এবং নাড়তে থাকুন দুধটি যতক্ষণ অবধি দুধ ঘন হয়ে ক্ষীরের মতো না হয়ে যাচ্ছে। ক্ষীরের মতো হয়ে এলে এতে খেঁজুর গুড়ের পাটালি দিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর এতে পিঠাগুলো দিয়ে ফুটিয়ে নিলেই তৈরি পুরের ঝামেলা ছাড়াই দুধ পাটিসাপটা পিঠা।