এই ৫ টি খাবার খাওয়ার পর ভুলেও জল খাবেন না, হবে মারাত্মক ক্ষতি
খাল কেটে কুমির আনার মতোই আমরা নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনি। অনেক সময় আমাদের দোষেই আমাদের শরীরের ক্ষতি হয়। জল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। কিন্তু সঠিক সময়ে তা খেতে হবে। সাধারণত শুনেই থাকবেন খাবার সাথে সাথেই জল না খাওয়ার কথা। কিন্তু কিছু খাবারের ক্ষেত্রে একদমই জল খাওয়া চলে না সেই খাবার খাওয়ার পর। আগেকার দিনে দাদু, ঠাকুমারা এইসব নিয়ম পালন করতেন। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম এসব কিছুরই ধার ধারে না। যার ফলে তৈরি হচ্ছে সুগার, ক্যান্সার, থাইরয়েড জাতীয় মারণ রোগ। জেনে নিন সেই খাবারগুলি এবং পরবর্তীকালে সচেতন থাকুন।
ফল:
ফল খাবার সাথে সাথেই জল পান করবেন না। ফল খাওয়ার অন্তত পনেরো মিনিট আগে জল খেতে পারেন। ফল খাওয়ার পরেই জল পান করলে বদহজম, গ্যাস, অম্বল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ছোলা:
আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ছোলা খুবই উপকারী। কিন্তু ছোলা খাওয়ার পর কখনোই জল খাবেন না। নাহলে হয়ে যেতে পারে আপনার শরীরের কোনো বড়ো ক্ষতি। ছোলা হজম করা একটু কঠিন। তাই ছোলা হজমের জন্য শরীরের ভেতরে তাপের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমরা যদি সাথে সাথে জল পান করি, তাহলে সেই তাপ তৈরি হতে পারে না, যার ফলে ছোলা সঠিকভাবে হজম হয়না।
কফি, চা:
বাড়িতে গুরুজনরা নিশ্চয় কখনো না কখনো তো বলেইছেন যে চা, কফি খাওয়ার সাথে সাথে জল খাওয়া মোটেই উচিত নয়। গরম চা, কফি খাওয়ার পরেই ঠান্ডা জল পান করলে পাচনতন্ত্রের ওপরে কুপ্রভাব ফেলে। ঠান্ডা গরমের এই দোলাচলে একটা শরীরের ভেতরে তৈরী হয় টক্সিন। যা শরীরের জন্য খুবই খারাপ। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে।
বাদাম:
বাদাম খাওয়া যে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কত ভালো এতো আপনার আমার কারোরই অজানা নয়। কিন্তু বাদাম খাওয়ার পরপরই কেউ যদি জল পান করেন তাহলে তা খুবই খারাপ। ছোলার মত বাদাম হজম হতেও সময় লাগে। তাই এর জন্য শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া খুব দরকার। কিন্তু ঠান্ডা জল খাওয়া মাত্রই তাপমাত্রা কমে যায় যার ফলে বাদাম হজম হয় না।
মিষ্টি:
মিষ্টি খাওয়ার পরেও অনেকে জলপান করেন। কিন্তু একদমই এটি করা উচিত না। মিষ্টি খাওয়ার সাথে সাথে জল পান করলে শরীরে হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি।
যেকোনো খাবার খাওয়ার সাথে সাথেই বা খাবার খাওয়ার সময় কখনোই জল পান করা উচিত নয়। খাবার খাওয়ার অন্তত পনের মিনিট আগে এবং খাবার খাওয়ার অন্তত পনের মিনিট পরে জল পান করুন। তা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। পরবর্তীতে এটি মাথায় রেখে খাবার ও জল ব্যালেন্স করে খান। মনে রাখবেন আপনার স্বাস্থ্যই আপনার সম্পদ। তাই শরীরের যত্ন নিন।