বাড়ির টবে চাষ করুন লঙ্কা, ফলন হবে দারুন, শিখে নিন পদ্ধতি
লঙ্কা এমন একটি জিনিস যার ব্যাবহার সামান্য হলেও করা হয়ে থাকে প্রায় সব সবজিতেই। এটি এমন একটি গাছ যার চাষ সারাবছরই হয়ে থাকে৷ তবে মে-জুলাই বা শীতের সময়ে লঙ্কার চাষ করলে তার ফলন ভালো পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ এই গাছ খুব বেশি বড় হয় না, তাই ছোট বা মাঝারি সাইজের টবে এটি আপনার বাড়ির বাগান, ছাদ যেখানে ইচ্ছে করতে পারেন৷
লঙ্কার ভালো ফলনের জন্য দোআঁশ মাটি নেওয়া যেতে পারে৷ এর সঙ্গে জৈব সার, গোবর সার, এক চামচ পরিমাণ ইউরিয়া সার মেশানো যেতে পারে৷ মাটি তৈরির প্রায় এক সপ্তাহ পর নার্সারি থেকে চারাগাছ অথবা বীজ কিনে এনে লাগাতে হবে। অথবা শুকনো লঙ্কার বীজ ব্যবহার করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে বীজ ৬ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে তারপর তা শুকনো করে বপন করতে হবে। টবটির নীচে অবশ্যই একটি ছিদ্র করে দিতে হবে যাতে অতিরিক্ত জল জমে গাছের গোড়ায় পচন না ধরে যায়। এরই সাথে এমন স্থানে রাখতে হবে যাতে তা পর্যাপ্ত আলো-বাতাস পায়৷ কিছুদিন পরে চারা বের হবে লঙ্কার৷
বাড়িতে টবেই যেহেতু লঙ্কার গাছ চাষ করছেন তাই নিজের মতো করে পরিচর্যা করতে পারবেন৷ রাসায়নিক সার বা কীটনাশক মুক্তও হবে এই গাছ৷ আপনি চাইলে বাড়িতে রান্নার সবজি কাটা হলে যে উচ্ছিষ্ট থাকে সেই সব খোসা পচিয়েও তা জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন৷ তবে নিয়ম করে জল দিতে হবে এবং তা যেন না জমে যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে৷
একটা লঙ্কা গাছের সঠিক পরিচর্যা করা হলে তা দু দফায় প্রায় ৫০-৮০টি লঙ্কা দিতে সক্ষম৷ জমিতে যারা বড় স্তরে লঙ্কার চাষ করেন সেইসব লঙ্কা গাছকে বিভিন্ন রোগের সম্মুখীন হতে হয়, যেমন মূল পচা, পাতা পচা, ক্ষত বা ফল পচা, পাতা কুঁকড়ে যাওয়া, ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ প্রভৃতি৷
তবে বাড়ির টবে লঙ্কা গাছে তেমন রোগের প্রাদুর্ভাব না হলেও পিঁপড়ের আক্রমণ হতে পারে৷ এদের ঠেকাতে সাবান গুঁড়ো কম করে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে৷ এভাবেই সহজেই বাড়িতে টবে লঙ্কা চাষ করতে পারেন৷