KK Death Anniversary: মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে কেরিয়ার গড়তে ছেড়েছিলেন চাকরি, কেকে-র জীবনী হার মানাবে সিনেমার গল্পকেও

দেখতে দেখতে ১টা বছর হয়ে গেল আমরা হারিয়েছি সুরের জাদুকর কেকে ওরফে কৃষ্ণকুমার কুন্নাথকে(Krishnakumar Kunnath)। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে পৃথিবীকে আলবিদা জানালেন এই গায়ক। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল দেশজুড়ে। পাশাপাশি আরও একটি ঘটনা নিয়েও বেশ টানাপোড়েন চলেছিল। আর সেটি হলো রূপঙ্করের বলা মন্তব্য। এক ভিডিও করে গায়ক রূপঙ্কর তিনি সহ আরও অনেক আর্টিস্টের নাম উল্লেখ করে তাদেরকে কেকে-এর চেয়ে ভালো গায়ক বলে দাবি করেছিলেন।
এককথায় বলা চলে বাঙালীদের বোম্বের গায়ককে নিয়ে মাতামাতি তিনি ভালো চোখে দেখেননি। আর সেই নিয়েই কিছুটা অভিমানের সুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) একটি বার্তা রেখেছিলেন গায়ক। আর তারপর আকস্মিক ভাবে কেকের মৃত্যুর পর একপ্রকার সমালোচনার ঝড় ওঠে নেট মাধ্যমে। রূপঙ্করের (Rupankar Bagchi) বক্তব্যে সায় দেয়না কেউই। তার শিল্পী জগতের মানুষ থেকে শুরু করে নেটিজেনরা সকলেই তার আচরণে ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন। একপ্রকার তাকে নিয়ে একাধিক কটাক্ষ থেকে শুরু করে চলে ট্রোলিংও।
যদিও সেসব এখন অতীত। কেকে যে আমাদের মধ্যে আর নেই সেটাই চরম সত্যি। গতবছর আজকের দিনেই আমরা কেকে-কে হারিয়েছিলাম। আর তাই আজকের এই প্রতিবেদনে তাঁকে নিয়েই থাকবে অজানা কিছু কথা। ১৯৬৮ সালের ২৩ আগস্ট এক মালোয়ালি পরিবারে তার জন্ম হয়। এরপর দিল্লির কিরোরি মাল কলেজ থেকে বাণিজ্য নিয়ে গ্র্যাজুয়েশন পাশ করেন। আর তারপর কয়েক মাস মর্কেটিং এক্সজিকিউটিভ হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু তার জীবনের লক্ষ ছিল অন্যকিছু।
আর তাইতো মাত্র ৬ মাস চাকরি করার পর তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের কেরিয়ার তৈরির জন্য কঠোর লড়াই শুরু করেন। এরপর ছবিতে বড় ব্রেক পাওয়ার জন্য জিঙ্গেল গাইতেন। তিনি ৩০০০-র বেশি জিঙ্গেল গেয়েছিলেন। তারপর ‛পল মিউজিক এলবাম’ দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেন। হিন্দির পাশাপাশি তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালায়লাম, মারাঠি, ওড়িয়া, বাংলা, অসমীয়া ও গুজরাটি ভাষাতেও তিনি গান গেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মৃত্যুর দুমাস আগেও কেকে (KK) মারাঠি গান রেকর্ড করেছেন। কিন্তু সেই মানুষটি আর আমাদের মধ্যে নেই। তবে তিনি মানুষের হৃদয়ে তার গানের মধ্যে দিয়ে আজীবন বেঁচে থাকবেন।