মীনাক্ষী এখন অতীত! ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন দুর্নিবার, রইল পাত্রীর পরিচয়

দু বছর পর ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন গায়ক দুর্নিবার (Durnibar Saha)। পাত্রী টলিপাড়ার পরিচিত মুখ। সবে নতুন বছরের শুরুয়াত হয়েছে। আর তার পাশাপাশি শীতটাও বেশ জাঁকিয়ে পড়েছে। তারই মাঝে বিয়ের সানাই বাজতে চলেছে টলিপাড়ায়। আগামী ৯ মার্চ সাত পাকে বাঁধা পরতে চলেছেন দুর্নিবার ও ঐন্দ্রিলা (মোহর) সেন (Oindrila Sen)। গায়কের প্রথম বিয়ের কথা কারোরই অজানা নয়।
২০১৭ সালে আইনি বিয়ে তারপর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বেশ ঘটা করেই বিয়ে হয়েছিল দুর্নিবার ও মীনাক্ষীর। কিন্তু বছর গড়াতে না গড়াতেই সম্পর্ক ফাটলের খবর কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল। আর তার কারণ খুঁজতেই উঠে এসেছিল দুর্নিবারের নতুন প্রেমের গল্প। ২০২২-র জুন মাসে দুজনের সম্পর্কের ভাঙ্গন শোনা যাওয়ার পরই সেই বছরই জুলাই মাসে দুর্নিবারের সঙ্গে প্রেমের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা (মোহর)।
দুর্নিবারকে জড়িয়ে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন ফেসবুক হ্যান্ডেলে। আর লিখেছিলেন যে, ‛জীবনটা সুন্দর যখন তুমি আশেপাশে থাকো। ধন্যবাদ আমার জীবনে আসবার জন্য এবং আমার পৃথিবীটা এতো সুন্দর করে তোলার জন্য। হ্যাঁ তোমাকে ভালোবাসি’। আর তখন থেকেই পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেছিলো সকলের কাছে। কিন্তু কে এই ঐন্দ্রিলা আর কীভাবেই বা আলাপ হয়েছিল দুজনের তা জানেন কি?
আসলে ঐন্দ্রিলা হলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাক্তিগত সংযোগ আধিকারিক। এক জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঐন্দ্রিলা ওরফে মোহর জানান যে, ‛২০২১-র ডিসেম্বর মাসে সামপ্লেস এলসে একটা শো শুনতে গিয়েছিলাম। সেখানেই আলাপ। এরপর ফোন নম্বর চালাচালি হয় কিন্তু কথা হয়নি। তারপর দুমাস পর ট্রেলার লঞ্চ ইভেন্টে দেখা হয়। আর তখনই আমি ওকে জিজ্ঞাসা করি পার্কস্ট্রিটের সেই পাবে যাবে কিনা? এমনকি ও আমার কাছে জানতে চায় লক্ষীছাড়ার শো শুনতে যাবে কিনা?’
ঠিক তখন থেকেই দুজনের মধ্যে সম্পর্ক। এরপর একটি শোতে ঐন্দ্রিলার পৌঁছাতে দেরি হয়েছিল। কিন্তু দুর্নিবার তাকে ফোনের মধ্যেই গান শোনাতে থাকে। ঐন্দ্রিলার কথায় ‛আমরা দুজনেই দুজনের প্রতি একটা টান অনুভব করেছিলাম। আর সেই পথেই হাঁটা শুরু করি’। পুরোনো সম্পর্ক ভাঙা ও নতুন সম্পর্কের শুরু নিয়ে দুর্নিবার বলেন যে, ‛কিছু সম্পর্ক যে ঠিক নয় তা বোঝার পর একটা জায়গায় এসে মনে হল এতদিনে আমার হাত শক্ত করে ধরে রাখছে কেউ। আর মোহর আমার জীবনের সেই মানুষটা। সম্পর্কে এতটা ঠিক কোনওদিন মনে হয়নি’। খুব শীঘ্রই দুজনে বেশ ঘটা করেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলছেন।