‘Zero ফ্লপ হবার পরে রান্না শিখে রেস্টুরেন্ট খোলার প্ল্যান করেছিলাম’: শাহরুখ

রিলিজ হবার মাত্র ৫ দিনের মধ্যেই ৫০০ কোটির আয় টপকে গিয়েছে শাহরুখ খানের ‘পাঠান’। ‘#বয়কটবলিউড’ ট্রেন্ডকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে পাঠান রথ অব্যাহত। সব কিছু ঠিক থাকলে ১০০০ কোটির গন্ডি পৌঁছাতে খুব বেশি সময় লাগবে না সিনেমার। আর এমন সাফল্যের পরেই শাহরুখ সহ দীপিকা পাডুকোন, জন আব্রাহাম, সিদ্ধার্থ আনন্দ সেরে ফেললেন প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন।
গত চারটে বছর কেমন কেটেছিল কিং খানের? লকডাউনে যখন গৃহবন্দি সবাই স্তদ্ধ সমস্ত কাজ ও গোটা দেশ কেমন করে দিন কাটত এসআরকে-র? আপনাকেও কি অবসাদ গ্রাস করেছিল? কার্যত একের পর এক প্রশ্ন আসতে থাকে কিং খানের উদ্দেশ্যে। তবে মাইক হাতে সবসময় যে তিনি হিরো তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জমিয়ে দিলেন এই প্রশ্নের উত্তর গুলি। শাহরুখের কথায়, ‘লকডাউনে দু বছর কার্যত আমার সব কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো।’
আরও যোগ করে বললেন, ‘আমি ধীরে ধীরে থামার সুযোগ পেলাম। অতিমারির ভাল ও খারাপ দুটো দিকই ছিল। পরিবারের সাথে সময় কাটিয়েছি পুরো ২ বছর কাজ করিনি। আমার চোখের সামনে আরিয়ান, সুহানা, আব্রাম বড় হয়েছে যা দুর্দান্ত একটা ব্যাপার। অবসরে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি।’ ২০১৮ সালে জিরো ছবি মুখ থুবড়ে পড়েছিল সেই সময় শাহরুখ ভেবেছিলেন হয়তো দর্শক আর তার সিনেমা দেখতে চাইছেন না।
বাড়িতে রান্না শিখে একটা রেস্টুরেন্ট খোলার পরিকল্পনাও করেছিলেন অভিনেতা। তবে পাঠানে দীপিকা একজন ISI এজেন্ট যা সবাই জানেন পাকিস্তানের সংস্থা। তার সাথে শাহরুখের প্রেম নিয়ে সরগরম দেশ। আবার জন ভারত দেশ শেষ করতে চায় সেটা নিয়েও কম চর্চা হচ্ছে না। সব প্রশ্নের উত্তরে শাহরুখ বলেছেন – ‘এই ছবিতে জন নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আমি এর আগে নেগেটিভ চরিত্র করেছি। কিন্তু আমরা বাস্তবে কেউ এমন খারাপ নই। দর্শকদের খুশি ও চরিত্রের জন্য এই ধরণের কাজ করতে হয়। কারও ভাবাবেগকে আঘাত করা আমাদের কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। সবটাই শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য’। এই বিতর্ক নিয়ে যে আরও জল ঘোলা হতে পারে সেই কথা অনেকেই এখন থেকেই মনে করছেন।