মা নাকি দিদি! উরফির মাকে দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেটবাসীর, সৌন্দর্যে মেয়েকেও দেবেন ১০ এ ১০ গোল, রইল ছবি

মা নাকি দিদি? উরফির মাকে দেখে রীতিমতো কুপোকাত ভক্তরা। আশাকরি উরফি জাভেদকে (Urfi Javed) নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে তিনি উঠে আসেন সংবাদের শিরোনামে। বলতে গেলে তিনি যে বিষয়টি নিয়ে সংবাদের পাতায় উঠে আসেন তা হল তার ড্রেস। তার নিত্যনতুন ফ্যাশান দেখলে ভিরমি খাবেন আপনিও। কখনও পাথর দিয়ে কখনও টয়লেট পেপার আবার কখনও টি ব্যাগ দিয়ে পোশাক বানিয়ে তিনি হাজির হন সকলের সম্মুখে।
তবে, উরফির মাকে চেনেন কি? যদিও নেটিজেনরা তাকে উরফির দিদি বলে বারবার ভুল করেন। চার সন্তানের মা জাকিয়া সুলতানা এখনও যা সুন্দরী তা দেখলে ভিরমি খাবেন আপনিও। বলতে গেলে এই বয়সেও তিনি গুনে গুনে দশ গোল দিতে পারেন বলি অভিনেত্রীদের। সম্প্রতি এক ভিডিওতে উরফির (Urfi Javed) সঙ্গে দেখা মিলছে তার মায়ের। আর তাকে দেখে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন সাইবারবাসী।
উরফিরা তিন বোন আর এক ভাই। তবে, উরফির ছোটবেলার স্মৃতি একেবারেই সুখকর ছিল না। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই তিনি নাকি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেসব নিয়েই মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী। উরফি বলেছেন যে, ‘আমি টিউব টপ পরা এক সাধারণ ছবি ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচার করেছিলাম, সেই ছবিই কেউ ডাউনলোড করে পর্ন সাইটে পোস্ট করেন। বিষয়টা আত্মীয়রা জানতে পারলে আমাকেই দোষারোপ করা শুরু করলেন। আমাকে বলা হয়েছিল আমি নাকি ‛পর্নস্টার’। আমি অবাক হয়ে বললাম, তাই যদি হবে তাহলে ভিডিয়ো কোথায়? এমনকি আমার বাবাও একথা বলেছিলেন’।
এমনকি অভিনেত্রী আরও বলেছেন যে, ‛বাবা আত্মীয়দের বলেন, পর্ন সাইটের লোকজন নাকি ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করছেন। আমি কিছুই বুঝিনি সেদিন, কিছু বলতেও পারিনি। কারণ আমায় মারধর করা হয়েছিল, কিন্তু কেন মার খাচ্ছি বুঝতে পারিনি। আমি কিছু লোকজনের ‛শিকার’ হয়ে গিয়েছিলাম। আত্মীয়স্বজন একপ্রকার, নিজের বাবাও এমন করলে মেনে নেওয়া সহজ ছিল না। দু’বছর অনেক শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার সহ্য করেছি, লোকজন খারাপ শব্দে আমায় ডাকত। বাবা এমন মারতেন যতক্ষণ না অজ্ঞান হয়ে যাই। তখন মনে হত আত্মহত্যা করি। তারপর ১৭ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাই’।
বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর লখনউতে একটা বাড়িতে ভাড়া থাকতেন অভিনেত্রী এবং তার বোনেরা। টিউশন পড়িয়ে ভাড়া দেন এরপর সেখান থেকে দিল্লিতে এক বন্ধুর ফ্ল্যাটে চলে যান। তারপর কল সেন্টারে চাকরি করতেন। এরপর সেখান থেকে মুম্বই যান। ফ্যাশানের প্রতি সবসময়ই তার আগ্রহ ছিল। আর সেটাই আজ তাকে ফ্যাশান আইকন করে তুলেছে।