ভিক্টরের কোলে এই ছোট্ট মেয়েটিকে চেনেন? বর্তমানে তিনি জনপ্রিয় টলি নায়িকা, রইল ছবি

যতদিন যাচ্ছে তত বাংলা সিনেমার জয় জয়কার বেড়ে চলেছে। কিন্তু এই বাংলা সিনেমার কান্ডারী কারা ছিলেন জানেন কি? উত্তর কুমারের (Uttam Kumar) পরবর্তী কালে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে নিয়ে গেছেন অঞ্জন চৌধুরী (Anjan Chowdhury), প্রভাত রায়ের (Provat Roy) মতো পরিচালকরা। তাদের হাত ধরে যে কত নায়িকারা আজ স্থান করে নিয়েছেন টলিউডের অন্দরে তার কোনো ইয়াত্তা নেই। কিন্তু পরিচিতি পেতেই তারা ভুলে গিয়েছেন আগের কথা। আর তাইতো অসুস্থ প্রভাত বাবুকে দেখতে যেতেও তারা সময় পায়না।
কিন্তু লহমা ভট্টাচার্য (Lahoma Bhattacharya) যে তাদের চেয়ে খানিকটা আলাদা। এবার তারই প্রমাণ দিলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি তিনি হাজির হয়েছিলেন প্রভাত বাবুকে দেখতে। আর তারই ছবি অভিনেত্রী শেয়ার করেছেন নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে। সঙ্গে লিখেছেন যে, ‛প্রভাতজেঠু যে অসুস্থ প্রথম ফেসবুকেই দেখি। তারপর কাল দুপুরে যখন শুনলাম, বাবা দেখতে যাচ্ছেন, আমিও সঙ্গে গাড়িতে উঠে পড়ি। একটাই কারণ ওঁকে অসুস্থ শরীরে দেখতে গিয়ে বহু বছরের জমে থাকা কৃতজ্ঞতা নীরবে জানানো’।
অভিনেত্রী আরও বলেছেন যে, ‛আজ থেকে কুড়ি বছর আগে যখন ই টিভির টেলিফিল্ম ‛কাবুলিওয়ালা’-য় প্রথম মিনি চরিত্রটা করি তখন ডিরেক্টর প্রভাত রায় কে? কটা ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ওঁর ছবি? রহমত সাজা কাবুলিয়ালা ভিক্টর ব্যানার্জি কে? কিছু বুঝতাম না। বোঝার বয়েসই হয়নি। এতবছর আগের কথা। টেলিফিল্ম-এ আমার একটা নাচ ছিল রবীন্দ্রসংগীতের সঙ্গে। সেই ‛ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে’-র সঙ্গে নাচতে গিয়ে প্রভাতজেঠুর বকুনি খেয়েছিলাম মনে আছে’।
এদিন এমনই সব পুরোনো কথা উঠে আসে অভিনেত্রীর প্রোফাইলে। এমনকি লহমা বলেন যে, ‛আজ যখন হঠাৎ করে এই প্রফেশনে এসে পড়েছি তখন বুঝতে পারি ওই শিশু বয়েসে প্রভাতজেঠুর মতো বড় ডিরেক্টরের আন্ডারে ওই ব্রেকটা পেয়েছিলাম সত্যি আমি কত লাকি’। এমনকি আজও প্রভাত রায় লহমাকে মজা করে নাকি বলেন ‛আমি তেরোজন নায়িকা তৈরি করেছি। তুমি হলে আমার সাড়ে তেরো নম্বর’। বর্তমানে প্রভাতজেঠু তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠার অপেক্ষায় দিন গুনছেন সকলেই।