×
Entertainment

সারেগামাপা জিতেই বিলাসিতা শুরু! ১৮ লক্ষের বিলাসবহুল গাড়ি কিনলেন গ্রামের ছেলে পদ্মপলাশ, করলেন স্বপ্নপূরণ

স্বপ্নপূরণ সারেগামাপার (SaReGaMaPa) পদ্মপলাশের। লক্ষাধিক টাকার গাড়ি কিনলেন গায়ক। চলতি মাসের শুরুতেই শেষ হয়েছ সারেগামাপা। প্রতিবারের মতো এবারেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে উঠে এসেছে সেরার সেরা নাম। আর তিনি হলেন পদ্মপলাশ হালদার (Padma Palash Halder)। একইভাবে বিজয়ী হয়েছেন অস্মিতা কর। লক্ষীকান্ত পুরের পদ্ম পলাশ প্রথম থেকে কীর্তন গেয়ে মনজয় করে এসেছেন বিচারকদের।

সারেগামাপা জিতেই বিলাসিতা শুরু! ১৮ লক্ষের বিলাসবহুল গাড়ি কিনলেন গ্রামের ছেলে পদ্মপলাশ, করলেন স্বপ্নপূরণ -

আর গ্র্যান্ড ফিনালের মঞ্চে বাংলা ও সংস্কৃত ভাষার মিশ্রনে তৈরি গণেশ বন্দনা গেয়েই চ্যাম্পিয়নের ট্রফি মাথায় তুলে নেন পদ্মপলাশ। তবে, নেটিজেনরা তার এই জেতা নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন। বলেছিলেন গুরুজির ছাত্র বলে তাকে জয়ী করা হয়েছে। যদিও সেসব এখন অতীত। বর্তমানে গানকে সঙ্গী করে জীবনের পথে এগিয়ে চলেছেন এই গায়ক। আর তার পাশাপাশি এবার নিজের স্বপ্নপূরণ করলেন। নিজের পরিশ্রমের টাকা দিয়ে এসইউভি কিনলেন পদ্মপলাশ।

সারেগামাপা জিতেই বিলাসিতা শুরু! ১৮ লক্ষের বিলাসবহুল গাড়ি কিনলেন গ্রামের ছেলে পদ্মপলাশ, করলেন স্বপ্নপূরণ -

সারেগামাপা -এ বিজয়ী হওয়ার পর পুরস্কার বাবদ ৭লক্ষ টাকার চেক সহ সোনার নেকলেস ও গাড়ি উপহার পেয়েছিলেন পদ্মপলাশ। তবে, এবার মাস পেরোতে না পেরোতেই নিজের টাকায় গাড়ি কিনলেন গায়ক। সম্প্রতি গাড়ির ছবি তুলে নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন পদ্মপলাশ। আর লিখেছেন ‛পরিবারের এই সদস্যের জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম। ইনোভা ক্রিস্টা এটা কেউ উপহার দেয়নি, আমি নিজে কিনেছি’।

এদিন গাড়ি কিনে তার সামনে পোজ দিয়ে ছবিও তুলেছেন পদ্মপলাশ। তবে, জানেন কি এই গাড়ির বাজার মূল্য এখন কেমন? বর্তমানে এই গাড়ির বাজার দর প্রায় ১৮ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। ছবি শেয়ার করতেই অনুরাগীরা অভিনন্দন জানিয়েছেন গায়ককে। কীর্তন গানকে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়াই পদ্মপলাশের স্বপ্ন। আর আগামী দিনে সেটাই করতে চান পদ্মপলাশ। দিনকয়েক আগে ইমন চক্রবর্তীর বসন্ত উৎসবেও গান গেয়েছেন তিনি।

সারেগামাপা জিতেই বিলাসিতা শুরু! ১৮ লক্ষের বিলাসবহুল গাড়ি কিনলেন গ্রামের ছেলে পদ্মপলাশ, করলেন স্বপ্নপূরণ -

এছাড়াও কিছুদিন আগে এক জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকরে পদ্মপলাশ বলেছিলেন যে, ‛আমি খুবই আনন্দিত। আমি লক্ষ্মীকান্তপুরের খুব সাধারণ এক কীর্তন ঘরের ছেলে। সাধারণ কীর্তন গাইতাম। জি সারেগামাপা আমাকে যে সুযোগ দিয়েছে, তার জন্য আমি গর্বিত এবং খুবই আনন্দিত। কীর্তন গানের জয় হোক এটাই চাইব। সব বিচারকরা আমাকে এত আর্শীবাদ এবং ভালোবাসা দিয়েছেন তার জন্য আমি খুবই কৃতজ্ঞ। এটা জীবনের বিরাট বড় পাওয়া’।