Salman-Aishwarya: বহু বছর পর ফের পাশাপাশি দুই প্রাক্তন সলমন-ঐশ্বর্য! ভাইরাল দৃশ্য

বলিউডের প্রেম ও বিচ্ছেদ কোনো নতুন কথা নয়। আয়েদিন সম্পর্কের সমীকরণ বদলে যায়। তবে আজ থেকে নয় বিবাহের আগে ও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সাক্ষী থেকেছে দর্শকরা। যে কারণেই বলিউডের প্রেম কাহিনী হার মানায় যে কোনো সিনেমার গল্পকেও। ভাইজান সলমন খান (Salman Khan) ও প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স ঐশ্বর্য রাইয়ের (Aishwarya Rai) প্রেমের গল্প নেহাতই কোনো মানুষের অজানা। ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমার সেট থেকে প্রেম শুরু হয় দুজনের। তারপর সলমন সরাসরি ঐশ্বর্যকে বিয়ে করতে চান।
তবে ঐশ্বর্যর মা নাকি সলমনকে মেনে নিতে পারেন নি। যে কারণে পরবর্তীকালে দুজনের সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। কিন্তু সলমন নাকি শারীরিক ও মানসিক ভাবেও ঐশ্বর্যকে নির্যাতন করেছিলেন এবং আজ কথা নায়িকা নিজেই সবার সামনে এনেছিলেন। সেসব যদিও ২০০২ সালেই ইতি হয়ে যায়। সলমন এখনও ব্যাচেলর থাকলেও, ঐশ্বর্য অনেকটাই জীবনে এগিয়ে গেছে। ২০০৭ সালে অভিষেক বচ্চনের (Abhishek Bachchan) সাথে বিয়ে ও তারপরে তাঁদের কন্যা আরাধ্যা (Ardhya) কে নিয়ে কার্যত সুখে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। সলমন ও ঐশ্বর্য দুজনের কেউই কার্যত এক ফ্রেমে কিংবা সরাসরি দেখা করেননি এতদিন।
তবে শনিবার আম্বানিদের পার্টিতে একফ্রমে বন্দি হলেন দুজনে! সরাসরি না হলেও ফ্রেমটি কিন্তু ইতিমধ্যেই ব্যাপক ভাইরাল হয়ে উঠেছে। ‘নীতা মুকেশ আম্বানি কালচালার সেন্টার’-এর লঞ্চের দ্বিতীয় দিনও হাজির হয়েছিলেন সলমন-শাহরুখের মতো তারকারা। হলিউড থেকে উড়ে এসেছিলেন স্পাইডার ম্যান খ্যাত টম হল্যান্ড, জেন্ডেয়া। তা ছাড়াও একই ফ্রেমে ছিলেন মালকিন নীতা আম্বানি। এই সকলে একই সাথে দাঁড়িয়ে ফটো তুলছিলেন। ভাইরাল এই ছবিটি লক্ষ্য করলে স্পষ্টই দেখা যাবে ছবির একদম বাঁ দিকে মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ঐশ্বর্য। সম্পূর্ণ অজান্তেই একফ্রেমে বন্দি হয়েছেন সলমন ও অ্যাশ।
ছবিটি শেয়ার করে টুইটারে এক জৈনক লিখেছেন- ‘একফ্রেমে সলমন-ঐশ্বর্যকে দাঁড় করানোর ক্ষমতা শুধু লেজেন্ড নীতা আম্বানিরই আছে’। অপর একজন লেখেন, ‘ক্যামেরাম্যানের প্রশংসা না করে থাকা যাচ্ছে না, সলমন-ঐশ্বর্যকে একফ্রেমে বন্দি করা! অসাধারণ কীর্তি’। তবে ভাইজান কিংবা ঐশ্বর্য এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনোরকম প্রতিক্রিয়া দেননি। এই ফটো কি নিছকই কাকতালীয় নাকি এখনও ভালোবাসা বাকি আছে তাদের মধ্যে? কি মনে হয় আপনার অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না কমেন্ট বক্সে।