Indian Idol 13: ৭ মাসের মহাযুদ্ধের অবসান! শেষমেষ সেরার সেরা হলেন ঋষি সিং, দ্বিতীয় স্থানে কলকাতার মেয়ে দেবস্মিতা

অবশেষে দীর্ঘ সাত মাসের সফর শেষ করে জয়ের ট্রফি উঠলো ঋষির (Rishi Singh) হাতে। অযোধ্যার ভূমি পুত্র ঋষি প্রথম থেকেই দর্শকদের পছন্দের ছিলেন। এমনকি তাকে নিয়ে মানুষের উন্মাদনা কম ছিল না। নেটিজেনরা তো ধরেই রেখেছিলেন ঋষি বিজয়ী হতে চলেছেন। আর সেই ভাবনাই এবার যেন সত্যি প্রমাণিত হল। ঋষি এতটাই ফেমাস যে সাধারণ মানুষ থেকে স্বয়ং বিরাট কোহলি ঋষিকে ফলো করেন।
আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ঋষির এই সাফল্য তার পরিশ্রমের ফলই বলা যায়। রবিবার ‛ড্রিম ফিনালে’-র মধ্যে শেষ হয়েছে এই সাত মাসের সুরেলা সফর। আর এই সফরে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন দেবস্মিতা রায়। এছাড়াও সেরা তিনে জায়গা করে নিয়েছেন চিরাগ কোতওয়াল। তাহলে বিদীপ্তা কোথায় গেলেন তাই ভাবছেন নিশ্চই? এই গানের মঞ্চে বিদীপ্তার গানও কিন্তু কম প্রশংসিত হয়নি।
কিন্তু তারপরে গ্র্যান্ড ফিনালেতে এসে সে কোনো স্থান পায়নি। এছাড়াও সোনাক্ষী ও শিবম সিং ছিলেন। তবে, এক্ষেত্রে বলে রাখি যে, কেউ কিন্তু কারোর চেয়ে কম নয়। উনিশ-বিশের ফারাকে কারোর হাতে ট্রফি পৌঁছেছে আবার কেউ শুন্য হাতে ফিরে গিয়েছেন। কিন্ত সকলেই খুবই ট্যালেন্টেড। এদিন বিজয়ী হয়ে ট্রফি জেতার পাশাপাশি একটি বিলাসবহুল গাড়ি সহ ২৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার যেতেন ঋষি।
এছাড়া দ্বিতীয় স্থানাধিকারী দেবস্মিতা পেয়েছেন ১৫ লক্ষ টাকা। এদিন ইন্ডিয়ান আইডল প্রসঙ্গে ঋষি বলেছেন যে, ‛আমাকে এর আগে কেউ চিনতো না, জানতো না। আমার পরিচয় খুঁজে দিয়েছে এই শো, এতো ভালোবাসা পেয়ে আমি আপ্লুত। এই মিউজিক্যাল জার্নিটা আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় অভিজ্ঞতা। এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আগামিতে আমি আরও বেশি পরিশ্রম করব, এই জার্নিতে যাঁরা আমাকে সমর্থন করেছে সকলকে ধন্যবাদ’।
২০২২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল গানের এই শো। এই মঞ্চে বিচারকের আসনে ছিলেন বিশাল দাদলানি, হিমেশ রেশমিয়া, নেহা কক্কর। তবে, মাঝে অনেকটা সময় নেহার দেখা মেলেনি এই মঞ্চে। দুদিন ধরে চলা ‛ড্রিম ফিনালে’-র মাধ্যমেই এবছরের ‛ইন্ডিয়ান আইডল’-য়ের বিজয়ী খুঁজে পান সকলে। আর এই বিশেষ পর্বে অতিথি হিসাবে হাজির ছিলেন পরিচালক জুটি আব্বাস-মস্তান, সঙ্গীত পরিচালক সেলিম মার্চেন্ট, পরিচালক-সঙ্গীতশিল্পী বিশাল ভরদ্বাজ ও তাঁর জীবনসঙ্গিনী রেখা ভরদ্বাজ। সবমিলিয়ে একেবারে জমে উঠেছিল শো।