সুখে দুঃখে মিষ্টি মুখে ২ বছর পার, একে অপরকে কেক খাইয়ে সেলিব্রেশন করলো গোটা মিঠাই টিম, রইলো ভিডিও

বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় সেরার সেরা ধারাবাহিক হল ‛মিঠাই’ (Mithai)। প্রথম থেকেই পরিবারের গল্প বলছে এই সিরিয়াল। বিশেষত মিঠাই-সিডের (Mithai-Sid) দুস্টু মিষ্টি খুনসুটিতে ভরা জীবন কাহিনী দেখতে একটা সময় ভিড় জমাতো ভক্তরা। গল্পের নায়িকার নামই মিঠাই। নামের সঙ্গে একেবারে পরিপূর্ণ তাঁর অভিনয়। যেমন সুন্দর সে মিষ্টি বানায় তেমনি মিষ্টি তাঁর কথা। তাঁর হাতের মনোহরা খেয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়নি এমন মানুষ বোধহয় নেই।
View this post on Instagram
আর অন্যদিকে ৫০ বছর ধরে মিষ্টির কারবার করা মোদক পরিবারের ছোট ছেলে হল সিদ্ধাথ অর্থাৎ সিড (Sid)। মিঠাই যতটাই প্রাণোচ্ছল, হাসিখুশি সিড ততটাই গোমড়ামুখো, রাগী। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল এই সিরিয়াল। একটি একান্নবর্তী পরিবারের সুখ-দুঃখ, ভালোলাগা-মন্দ লাগা এমনকি ছোট ছোট কথার গুরুত্ব নিয়ে গড়ে উঠেছে এই সিরিয়াল। আর তার পাশেই রয়েছে পরিবারের সবচেয়ে বড় দুর্বল জায়গা তাঁদের মিষ্টির দোকান।
View this post on Instagram
সম্প্রতি সেই ধারাবাহিকই পা রেখেছে দু-বছরে। যেখানে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ধারাবাহিক গুলি বন্ধ হতে থাকে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সফলতার সঙ্গে দুবছর পার করা মোটেই সহজ বিষয় নয়। এদিন সেটের মধ্যেই অনেকগুলো কেক কেটে হয় সেলিব্রেশন। আর যা মিঠাই প্রেমী দর্শকদের জন্য বেশ আনন্দের বিষয়। তার চেয়েও বড় আনন্দ হল ফের পাশাপাশি দেখা গেল আদৃত-সৌমিতৃষাকে।
View this post on Instagram
বর্তমানে ধারাবাহিক লিপ নিয়েছে। আর সেখানে নেই মিঠাই রানী। গুণ্ডাদের ষড়যন্ত্রে সে আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছে। তবে, মিঠাইয়ের আদলে সেই মুখে এন্ট্রি নিয়েছে মিঠি। আর এবার মিঠি-সিডকে দেখা গেল সব বিবাদ ভুলে এক হতে। আর যা দেখে খুশিতে ডগমগ মিঠাই ভক্তারা। কেউ লিখেছেন যে, ‛নতুন বছরের সেরা মুহূর্ত এটাই’। আবার কেউ লিখেছেন যে, ‛তিন বছরের কেকটাও কাটতে হবে কিন্তু। তৈরি থেকো’।
একটা সময় টানা ৫৬ সপ্তাহ ধরে টিআরপি তালিকায় সেরার সেরা ধারাবাহিক ছিল মিঠাই। কিন্তু মাঝে খানিকটা দমে যাওয়ায় প্রাইম টাইমের বদলে সন্ধ্যে ৬ তার স্লটে দেখা যাচ্ছে এই ধারাবাহিক। কিন্তু তাতে কি? আজও মিঠাই ম্যাজিক একইভাবে অব্যাহত রয়েছে দর্শকদের মনে।