Entertainment

‘টাকার জন্য বাবা B-Grade ছবিতে অভিনয় করেছেন’, অকপট মিঠুন পুত্র মিমো

টাকার কারণে বি-গ্রেডের ছবিতে কাজ করেছেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)! বাবার প্রসঙ্গে অকপট মিঠুন পুত্র মহাক্ষয় (Mahaakshay Chakraborty)। তাকে নিয়ে আশাকরি নতুন করে বলার কিছু নেই। ১৯৭৬ ‛মৃগয়া’ ছবি দিয়ে প্রথম পা রেখেছিলেন সিনেমা জগতে। এরপর একেরপর এক ছবি দিয়ে মনজয় করে নেন ভক্তদের। জানেন কি প্রথম সিনেমা করেই ‛National Film Award For Best Actor‘-এর সম্মান তার ঝুলিতে আসে। ডিস্কো কিং হিসেবে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) সকলের কাছে পরিচিত।

তাকে নিয়ে আশাকরি নতুন করে বলার কিছু নেই। বাংলা, হিন্দির পাশাপাশি ভোজপুরী, ওড়িয়া, তামিল, তেলেগু, কানাড়া ভাষার সিনেমাতেও তিনি কাজ করেছেন। প্রায় ৩৫০ টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন মিঠুন। বলা চলে সিনেমা জগতের একজন কিংবদন্তি অভিনেতা তিনি। তার অভিনয়ের পাশাপাশি নাচেও পাগল আসমুদ্র হিমাচল। কমার্শিয়াল ছবির পাশাপাশি একাধিক ভিন্ন ধারার ছবিতে কাজ করে তিনি তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।

কিন্তু জানেন কি একদম গোড়ার দিকে একাধিক বি-গ্রেডের ছবিতে অভিনয় করেছেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)। সেই নিয়ে অকপট সাক্ষাৎকারে অভিনেতার ছেলে মহাক্ষয় (Mahaakshay Chakraborty)। অভিনেতা জানান যে, আমাদের চেয়ে মা বাবার উত্থান-পতনটা খুব কাছ থেকে দেখেছে। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন বাবার একটা ছবি ফ্লপ করলেই তিনি অবসাদে ভুগতেন। চারটে শিফটেও নাকি মিঠুন কাজ করতেন বলে মহাক্ষয় জানিয়েছেন। এমনকি ভ্যানিটি ভ্যানের প্রচলনেও মহাগুরুর অনেক বড় ভূমিকা আছে বলে জানান মহাক্ষয়।

এছাড়াও মিমো (Mimoh Chakraborty) আরও বলেছেন যে, উনি আমাদের জন্যই ছবিগুলি করেছেন। ওনার হোটেল ব্যবসার জন্য। তখন উটিতে বলিউড অথবা দক্ষিণী ছবির শ্যুটিং হলেই গোটা ইউনিট আমাদের হোটেলে থাকতো। আর যা ব্যবসার জন্য খুবই ভালো ছিল। টাকার কারণে বাবা এই ছবি করেছে। তাই বলে প্রযোজকদের টাকা জলে যায়নি। ৭০ লক্ষ টাকার ছবি কোটি টাকার ব্যবসা দিয়েছে। এমনকি মহাক্ষয় বলেন যে, মিঠুনের (Mithun Chakraborty) কাছে তার পরিবারই শেষ কথা ছিল।

সবমিলিয়ে বলা চলে মিঠুনের এই বি-গ্রেডের ছবিতে কাজকে পুরোপুরি ভাবে সমর্থন করেছেন তার পুত্র মহাক্ষয় (Mahaakshay Chakraborty)। আশাকরি কমবেশি সকলেই জানেন মিঠুনের (Mithun Chakraborty) স্ট্যাগেল জীবনের কথা। একটা সময় তার মাথায় ছাদ ছিলনা। এমনকি ছিলনা খাওয়ার মতো পয়সা। শুধু তাই নয় গায়ের রং নিয়েও তাকে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে। তবুও তিনি হাল ছাড়েননি। আর ছাড়েননি বলেই তিনি আজ সাফল্যের চূড়ায়।