×
EntertainmentVideoViral Video

একটা ছাতা ছিল না, জলের বোতল কেনার টাকা থাকত না! সমস্ত বাঁধা পেরিয়ে আজ নামকরা অভিনেত্রী সুদীপ্তা

এবার জোশ টকে এসে নিজের জীবনের স্ট্যাগেলে লাইফ নিয়ে কথা বললেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা ব্যানার্জি (Sudipta Banerjee)। বাংলা টেলিভিশন জগতে হাজার এক অভিনেত্রী আছেন। যাদের মধ্যে কেউ কেউ খুবই পরিচিত। আর কেউবা কিছু কিছু চরিত্রের কারণে মনে দাগ কাটে দর্শকদের। তারই মধ্যে আবার এমন হয় যে, কোনো অভিনেত্রী খুব সহজ ভাবেই এই ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করে নিয়েছেন। আবার কেউ খুবই কষ্ট করে আজ এসেছেন অভিনয় জগতে।

আর তেমনই একজন অভিনেত্রী হলেন সুদীপ্তা ব্যানার্জি। সকলে তাকে সুদীপ্তা নামে চিনলেও তার বাবা-মা তাকে ভালোবেসে মানি বলে ডাকে। হাওড়ার শিবপুরে তার বড় হয়ে ওঠা। সাধারণ নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান তিনি। নাচ-গান সবই শিখতেন। এভাবেই ক্লাস টেন থেকে ইলেভেনে ওঠেন। আর তারপর তার বাবার রিটায়ার হয়ে যাওয়ায় তাদের কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়।

একটা সময় তার দাদা ও তিনি একটা ডিমও ভাগ করে খেয়েছেন। কিন্তু তখন থেকেই তার বাবা চাইতেন মেয়ে কিছু করুক। আর সেই মতো সেও চাইতো অন্যকিছু করতে। তাই কিছু ছবি তুলে বিভিন্ন প্রোডাকশন হাউসে জমা দিয়েছিলেন। এরপর উচ্চমাধ্যমিক দেওয়ার সময় ২০০৭ সালে একটি প্রোডাকশন হাউস থেকে কল আসে। তারপর রবি ওঝার সঙ্গে তার প্রথম কাজ শুরু হয় ‛খেলা’ দিয়ে। সেই থেকেই তার জার্নি শুরু।

সেখানে তার চরিত্রের নাম ‛বিন্দু’। তিন তিনবার রিজেক্ট হওয়ার পর তিনি চান্স পান এই ধারাবাহিকে। অভিনেত্রী আরও বলেন যে, একটা সময় তিনি জুনিয়র আর্টিস্ট থাকার কারণে তাকে মেকআপ রুমেও বসতে দেওয়া হতো না। এমনকি একটা সময় ছিল যখন তিনি তার অভিনয়ের টেলিকাস্টটাও টিভিতে দেখতে পারতেন না। কারণ তাদের টিভির লাইন কেটে দেওয়া হয়েছিল। তাদের অবস্থা তখন খুব খারাপ ছিল আর্থিক দিক দিয়ে।

প্রথম প্রথম তিনি ৫০ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোতেন। তার কাছে জলের বোতল কেনার মতো পয়সা থাকতো না। এমনকি ছিলনা কোনো ছাতা। তার প্রথম স্যালারি ছিল ১৬০০ টাকা। যেটা দিয়ে তিনি প্যান্ট, শার্ট, জুতো, ব্যাগ কিনেছিলেন। তিনি কোনোদিনই হিরোইন হতে চাননি। সুপারস্টার হতে চাননি। তিনি একজন ভালো অভিনেত্রী হতে চেয়েছেন। একটা সময় তাকে শ্যুটিংয়ের ডেট দিয়েও বাতিল করা হয়েছে।

তিনি একটা জিনিষ ভালো জানেন যে, তার যতটুকু পাওয়ার তিনি ততটাই পাবেন। সুদীপ্তার কথায় জীবনে একেকটা স্টেশনে একেকজন মানুষের সঙ্গে আলাপ হবে। কেউ শেষ গন্তব্য অবধি তোমার সঙ্গে যাবে না। কেউ প্রথম স্টেশনে নেমে যাবে। আবার কেউ মাঝের স্টেশনে। কিন্তু জীবন সুন্দর। প্রত্যেকটা দিন বাঁচতে হবে। আজও অভিনেত্রী লড়াই করে চলেছেন।