Entertainment

‘খরচ চালাতে বিক্রি করতে হয়েছিল মায়ের আংটি, ভাবতাম কাজ না পেলে কিভাবে চলবে সংসার’: আরাত্রিকা

Advertisement

পর্দায় আমরা সবকিছুই বেশ ঝাঁ চকচকে দেখতে পাই। আর সেই দেখে আমরা সবকিছুই বেশ সুখের বলে ভাবি। কিন্তু জানেন কি পর্দায় পিছনেও মানুষের জীবন সংগ্রামের কাহিনী থাকে। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে ‛কষ্ট করলে তবেই কেষ্ট মেলে’। হ্যাঁ আজ সত্যিই সেই কষ্টটা করেছেন বলেন তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। কার কথা বলছি বুঝতে পারছেন না নিশ্চই? তিনি হলেন। আরাত্রিকা মাইতি (Aratrika Maity)। যদিও এই নামে তাকে চেনা দুষ্কর।

'খরচ চালাতে বিক্রি করতে হয়েছিল মায়ের আংটি, ভাবতাম কাজ না পেলে কিভাবে চলবে সংসার': আরাত্রিকা

বর্তমানে তাকে সবাই মিতুল নামেই চেনে। হ্যাঁ কথা বলছি জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‛খেলনা বাড়ি’র (Khelna Bari) নায়িকা আরাত্রিকা (Aratrika Maity) ওরফে মিতুলকে (Mitul) নিয়ে। সিরিয়ালের পর্দায় মিতুলের একেরপর এক জীবন সংগ্রামের কাহিনী আপনারা সকলেই দেখেছেন। আর তাতে সে যে সফলও হয় তাও সকলেরই জানা। তবে, জানেন কি বাস্তবেও আরাত্রিকা কিন্তু কঠিন সংগ্রাম করেই আজ এই জায়গায় এসে পৌঁছেছে।

'খরচ চালাতে বিক্রি করতে হয়েছিল মায়ের আংটি, ভাবতাম কাজ না পেলে কিভাবে চলবে সংসার': আরাত্রিকা

পর্দায় এখন মিতুল (Mitul) দুই সন্তানের মা। কিন্তু বাস্তবে আরাত্রিকা কিন্তু এখনও স্কুলের গন্ডি পার করেননি। তার বাড়ি মেদিনীপুরের (Medinipure) ঝাড়গ্রামে (Jhargram)। নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়ে আরাত্রিকা ‛রানী রাসমণি’ ধারাবাহিকের হাত ধরে প্রথম পা রাখেন টেলিভিশন (Television) জগতে। যদিও সেখানে তার কোনো সংলাপ ছিল না। এরপরই আসে লকডাউন। কাজ নেই সংসার চলবে কিভাবে সেকথা ভেবেই কেঁদে ফেলতেন অভিনেত্রী। কিন্তু তাই বলে সে থেমে থাকেননি।

'খরচ চালাতে বিক্রি করতে হয়েছিল মায়ের আংটি, ভাবতাম কাজ না পেলে কিভাবে চলবে সংসার': আরাত্রিকা

পর্দার মিতুল (Mitul) জানিয়েছেন যে, লকডাউনের সময় অডিশন চলছিল। কিন্ত ঝাড়গ্রাম থেকে কলকাতা (Kolkata) যাওয়ার ট্রেন যে বন্ধ। কিন্তু তার বাবা মেয়েকে হেরে যেতে দেননি। যাতে মেয়ে কলকাতায় এসে অডিশন (Audition) দিতে পারে তাই সেদিন আরাত্রিকার (Aratrika Maity) মায়ের আংটি বিক্রি করার টাকা দিয়ে মেয়েকে কলকাতায় এনেছিলেন। যে আংটি একদিন কিনা তার বাবা বিয়েতে তার মাকে উপহার দিয়েছিল। তবে, এসবের মাঝে আরাত্রিকা তার বাবার কাছে একটাই প্রশ্ন ছিল, যদি কাজ না পাই তাহলে সংসার কিভাবে চলবে?

'খরচ চালাতে বিক্রি করতে হয়েছিল মায়ের আংটি, ভাবতাম কাজ না পেলে কিভাবে চলবে সংসার': আরাত্রিকা

তবে, সেদিন আর ফিরতে হয়নি তাকে। পর্দার মিতুল হয়ে সে ধরা দিলেন টিভির পর্দায়। পেলেন লাখ লাখ মানুষের ভালোবাসা। আজ সে প্রতিটি বাড়ির ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছে। আর তার প্রমান মেলে টিআরপি (TRP) তালিকায়। শুধু তাই নয় বর্তমানে সে একজন সফল অভিনেত্রী। তার অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই।

'খরচ চালাতে বিক্রি করতে হয়েছিল মায়ের আংটি, ভাবতাম কাজ না পেলে কিভাবে চলবে সংসার': আরাত্রিকা

Humppyর পক্ষ থেকে মিতুল ওরফে আরাত্রিকার এই কঠিন লড়াইয়ের জন্য তাকে কুর্নিশ জানায়। আগামী দিনে তার পথ আরও মসৃন হোক এই কামনাই করি।