অজান্তেই তিন বছর ধরে সিংহ রায় জুয়েলার্সের ডিজাইন করেছে খড়ি, ফাঁস কিয়ায়ার সমস্ত কুকীর্তি, নয়া ট্যুইষ্ট গাঁটছড়াতে
কিয়ারার প্রতারণার কথা হাতেনাতে ধরে ঋদ্ধি (Riddhi)। কোনোক্রমে ঋদ্ধি জানতে পারে সিংহরায় দের জন্য কিয়ারা কোনো গয়নার ডিজাইনই বানাতো না।

সমস্যা যেন লেগেই রয়েছে সিংহরায় পরিবারে। এই তো দিন কয়েক আগে দত্তদের রোষের মুখে পড়েছিল সিংহরায়দের ব্যবসা। খড়ির (Khori) বুদ্ধির জোরে কোনোক্রমে এ যাত্রায় রক্ষা পায় সিংহরায়রা। কিন্তু সেই ভালো সময়ের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বিপদের মুখে তারা। কথায় বলে ঘরের শত্রু বিভীষণ। এক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছে। স্ত্রীর থেকে প্রতিশোধ নিতে তার একটি ছবিকে কারিকুরি করে পত্রিকায় ছাপিয়ে দেয় রাহুল (Rahul)।
দ্যুতির অজান্তেই তার এই খোলামেলা ছবি খবরের কাগজে বের হওয়ার শুরু হয় গোলমাল। রক্ষণশীল পরিবারের বউয়ের এ ধরণের ছবি সকলের সামনে এলে তা নিয়ে যে কিছু না কিছু হবেই তা ভালোমতো জানে রাহুল। কিন্তু এই সময় দ্যুতির পাশে এসে দাঁড়ায় খড়ি। এমনকি সত্যিটা সকলের সামনে আনার প্রতিজ্ঞা নেয়। শুধু তাই নয় রাহুলের সঙ্গে আর কে কে আছে এই ষড়যন্ত্রে তাও সে খুঁজে বের করবে।
View this post on Instagram
এরই মাঝে ঘটে আরও এক কান্ড। কিয়ারার প্রতারণার কথা হাতেনাতে ধরে ঋদ্ধি (Riddhi)। কোনোক্রমে ঋদ্ধি জানতে পারে সিংহরায় দের জন্য কিয়ারা কোনো গয়নার ডিজাইনই বানাতো না। খড়ি যে গয়নার ডিজাইন বোস বাবুকে বিক্রি করতো সেগুলোকেই সে নিজের বলে চালাতো। আর এটা প্রমান করতেই ঋদ্ধি কিয়ারাকে ১৫ মিনিটের মধ্যে ডিজাইন করতে বলে। কিন্তু মাথা ব্যাথার অজুহাত দেখিয়ে কিয়ারা কাজটি করেনা। ওদিকে খড়িকে একই কাজ করতে বলা হলে সে ১৫ মিনিটের মধ্যেই ডিজাইন এঁকে দেয়।
View this post on Instagram
আর সেখান থেকেই ঋদ্ধির কাছে সব স্পষ্ট হয়ে যায়। আর তারপর সব কথা জানায় খড়িকে। ওদিকে আবার অয়না-কুণালের (Ayna-Kunal) বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়। কিন্তু মধুজা ও কুনাল দুজনের কারোর মন সায় দেয় না এই বিয়ে নিয়ে। এবার দেখার পালা অবশেষে কি বনি-কুনাল এক হবে? আর অন্যদিকে রাহুলের ষড়যন্ত্র কিভাবে ফাঁস করবে খড়ি।