পাল্টি মেরে গুড্ডিকে চরম অপমান যুধাজিতের, ‘এগুলো দেখে কি শিখবে মানুষ’! সিরিয়াল বন্ধের দাবি নেটিজেনদের একাংশের

‛কি শিখবে মানুষ?’‛এই সিরিয়াল বন্ধ হওয়া দরকার’। দর্শকদের এমনই সব মন্তব্য গুড্ডি ধারাবাহিক ঘিরে। বর্তমানে অনুজকে নিয়ে গুড্ডি ও যুধাজিতের মধ্যে জোর ঝামেলা চলছে। যার কারণে ফের একবার টানটান পর্বের মুখে ধারাবাহিক গুড্ডি। যতদিন এগোচ্ছে ততই যেন এই ধারাবাহিক থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন অনুরাগীরা। একটা সময় এই ধারাবাহিকের গল্পের কারণে প্রশংসিত হতো সকলের কাছে। আর আজ সেই ধারাবাহিক বন্ধের দাবি তুলেছেন সকলে।
কিন্তু কেন? ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শকেরা জানেন যে অবশেষে প্রমান হয়েছে শিরিন গুড্ডিকে মারার চেষ্টা করেছিল। রীতিমতো হাসপাতালে গিয়ে ওষুধ খাওয়ানোর অছিলায় তাকে বারবার ভুল ওষুধ খাইয়ে দেয়। আর যার প্রমান মিলেছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে। আর তারপর আইনের নিয়ম অনুযায়ী শিরিনকে গ্রেফতার করা হয়। জেলে যাওয়ার আগে শিরিন গুড্ডি ও অনুজকে নিয়ে এমন কিছু কথা বলে যায় যা তাদের চাকরির ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি।
কিন্তু এসবের মাঝে অনুজের ছেলে গুড্ডির কাছে থাকতে শুরু করে। এমনকি রেশমি নামের একটি মেয়েও থাকে। আর যারকারণে গুড্ডিকে নিজের মতো করে পায়না যুধাজিৎ। সেই নিয়ে তারমনে তো একটা ক্ষোভ রয়েছেই। পাশাপাশি অনুজের ছেলের এ বাড়িতে থাকা ও গুড্ডির অনুজের সঙ্গে দেখা করা এ কোন কিছুই যুধাজিৎ ভালো চোখে দেখছে না। পাশাপাশি তার মাও এসব পছন্দ করছে না।
আর এসব নিয়েই দুজনের মধ্যে খুব ঝামেলা হয়। এমনকি যুধাজিৎ গুড্ডির চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তোলে। আর ওদিকে যুধাজিতের মাও গুড্ডিকে ছেড়ে দিতে বলে। এমনকি অনুজ জ্বরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার বাড়ির কাজের মেয়ে গুড্ডির কাছে সাহায্য চাইতে আসায় এই নিয়েও গুড্ডি ও যুধাজিতের মধ্যে ঝামেলা বাধে। এসব পর্ব দেখেই নেটিজেনরা রীতিমতো বিরক্ত প্রকাশ করেছেন।
আর তাতে কেউ লিখেছেন ‛কি শিখবে মানুষ?’। আবার কেউ লিখেছেন ‛এই সিরিয়াল বন্ধ হওয়া দরকার’। আবার কেউ লিখেছেন ‛ফালতু সিরিয়াল’। সবমিলিয়ে ফের একবার নেটিজেনদের রোষের মুখে এই ধারাবাহিক।