অমিতাভকে শেষ বারের মতো দেখে আসুন, চিকিৎসকের কথায় কেঁদে ভাসান জয়া বচ্চন

অভিনেতা অমিতাভের জনপ্রিয়তা সেকাল ছাড়িয়ে একালেও অটুট। আজও একইরকমভাবে দর্শকদের প্রিয় তারকা হোক বা অভিনেতা সবজায়গায় বিশেষ স্থান অধিকার করে বসে আছেন তিনি। খুবই লড়াকু মানুষ অমিতাভ। বহুবার মৃত্যুর সাথে লড়াই করে জয়ী হয়েছেন তিনি। কয়েকদিন আগেও করোনার সাথে লড়াই করে এসে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন কিভাবে ঠাণ্ডা ঘরে একাকীত্বে কাটিয়েছেন সেই লড়াইয়ের দিনগুলি।
১৯৮২ সালের ২৬ জুলাই পরিচালক মনমোহন দেশাই-এর ফিল্ম ‘কুলি’-র শুটিং চলাকালীন অমিতাভের সাথে ঘটে এক দুর্ঘটনা। শুটিং চলছিল ব্যাঙ্গালুরু থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে একটি স্থানে। অমিতাভ ও অভিনেতা পুনিতের একটি ফাইট সিকোয়েন্সে অমিতাভ লাফ দিতে গিয়ে টেকনিক্যাল ভুলের কারণে পরে জন তিনি। পরে যাওয়ায় লিভারে মারাত্মক চোট পান আমিতাভ। তখন শুটিং বন্ধ করে হোটেলে নিয়ে আসা হয় অমিতাভকে। কিন্তু পেন কিলারেও ব্যথা কমেনা তাঁর। পরিবর্তে শরীরের আরও অবনতি ঘটে।
সেই মুহূর্তে তাঁকে দ্রুত মুম্বই ফিরিয়ে নিয়ে এসে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে ‘বিগ বি’র অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর তাঁর শরীরে রক্তের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সেই মুহূর্তে তাঁর শরীরে যে রক্ত দেওয়া হয়, তাতে ছিল হেপাটাইটিস বি-র জীবাণু। ফলে অমিতাভের শরীরে সংক্রমণ শুরু হয়ে যায়। তাঁর জীবন সঙ্কট দেখা দেয়। কিন্তু সেদিন ডঃ উদওয়াদিয়া-র সিদ্ধান্ত অমিতাভকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিল।
T 3298 – There is a paucity of words searching a response .. for the generosity of words that pour in ..
I am but deeply grateful and most humbled .. my sincerest gratitude ..कृतज्ञ हूँ मैं , परिपूर्ण , आभार और धन्यवाद … मैं केवल एक विनयपूर्ण , विनम्र अमिताभ बच्चन हूँ pic.twitter.com/ESfV7ms6fZ
— Amitabh Bachchan (@SrBachchan) September 24, 2019
এই ঘটনাটি অমিতাভ নিজেই লিখেছেন নিজের ব্লগে। মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে তাঁর দ্বিতীয় অপারেশনের পর অনেকক্ষণ তাঁর জ্ঞান না ফেরায় চিকিৎসকরা ভেবেছিলেন অমিতাভ বোধহয় আর বাঁচবেন না। তখন তাঁকে আইসিইউ তে রাখা হয়েছিল। সেইসময় চিকিৎসকরা জয়া বচ্চনকে বলেন, অমিতাভ-এর সাথে শেষবারের মতো দেখা করে আসতে। এই ঘটনায় জয়া অত্যন্ত ভেঙে পড়েন। কিন্তু অমিতাভের জন্য গঠিত মেডিক্যাল টিমের প্রধান ডঃ উদওয়াদিয়া অমিতাভের শরীরে কর্টিসোন ইঞ্জেকশন দিয়ে একটি শেষ চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি অমিতাভের শরীরে একের পর এক কর্টিসোন ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করেন। এর ফলেই অমিতাভের জ্ঞান ফিরে আসে। জ্ঞান ফিরে আসার মুহূর্তে প্রথম অমিতাভের পা একটু কেঁপে উঠতেই জয়া বলে ওঠেন, অমিতাভ বেঁচে আছেন।