Khorkuto: গুনগুনের মৃত্যু দেখিয়েই শেষ হচ্ছে ‘খড়কুটো’, চোখের জলে ভাসাচ্ছে অনুরাগীরা
তৃনার মতে দর্শকরা আমাদের কতটা ভালোবাসেন তা গুনগুনের মৃত্যুতেই বোঝা গিয়েছে।

গুনগুনের মৃত্যুতেই শেষ ‛খড়কুটো’ (Khorkuto)। অন্তিম পর্বে রয়েছে বিশেষ চমক। অবশেষে সত্যি হল আশঙ্কা। চলতি সপ্তাহেই শেষ হতে চলেছে মুখোপাধ্যায় পরিবারের আখ্যান। ইতিমধ্যেই সম্প্রচারিত হয়ে গিয়েছে গুনগুনের মৃত্যুর পর্ব। আর সেই দেখে চোখে জল ভক্তদের। বরাবরই দর্শকদের পছন্দের তালিকায় ছিল এই ধারাবাহিক। ২০২০ সালের আগস্ট মাসে পর্দায় এসেছিল এই সিরিয়াল। তারপর থেকে একটু একটু করে জায়গা করে নিয়েছে দর্শকদের মনে।
একটা সময় বেঙ্গল টপার ধারাবাহিক ছিল এই ‛খড়কুটো’। যদিও ধীরে ধীরে সে স্থান হারিয়েছে। আর তাইতো দুপুরের স্লটে চলে এসেছে এই ধারাবাহিক। তবুও অনেক মানুষের পছন্দের তালিকায় রয়েছে এই সিরিয়াল। কিন্তু অবশেষে সময়ের নিয়মে থেমে যেতে চলেছে এই ধারাবাহিক। এবার ছেড়ে আসার পালা। ‛খড়কুটো’ শেষ হয়ে যেতে চলেছে। এই বিষয়ে তৃনা জানিয়েছেন যে, পর্দায় নয় বাস্তবেও আমরা পরিবার হয়ে উঠেছিলাম। সকলেরই মনখারাপ সকলেই কাঁদছে। শেষ দিনটা এগিয়ে আসতেই কষ্ট হচ্ছে।
এমনকি তৃনা (Trina Saha) আরও বলেছেন যে, এই ধারাবাহিক আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। গুনগুন হয়ে যা ভালোবাসা পেয়েছি তা কোনোদিনও ভুলবো না। খড়কুটো আমার জীবনে বিশেষ জায়গা নিয়ে থাকবে আজীবন। তবে গুনগুনের মৃত্যুতে একপ্রকার ক্ষিপ্ত হয়ে আছেন অনুরাগীরা। সব ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সিরিয়ালের লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের উপর। কেন ‛হ্যাপি এন্ডিং’ পেলনা খড়কুটো সেই প্রশ্নেই ভরে গিয়েছে নেটপাড়া।
যদিও এই বিষয়ে তৃনার মতে দর্শকরা আমাদের কতটা ভালোবাসেন তা গুনগুনের মৃত্যুতেই বোঝা গিয়েছে। এমনকি পাল্টা প্রশ্ন করে তৃনা বলেছেন যে, গুনগুনের মৃত্যুর প্রয়োজন ছিল কিনা জানা নেই। তবে ব্রেন টিউমারের মতো রোগকে হারিয়ে ফিরে আসলে প্রশ্ন উঠতো না কি? তবে, তৃনা অনুরাগীদের আশ্বস্ত করে বলেন যে, শেষপর্বেও থাকবে গুনগুন। এমনকি শেষদিন পর্যন্ত খড়কুটো দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন। পাশাপাশি এও বলেছেন যে, দর্শকদের জন্য একটা উপহার আছে। যা কিনা সব মনখারাপ মুছিয়ে দেবে।
এখন শুধু দেখার পালা কি সেই উপহার যা কিনা দর্শকদের মনে গুনগুনকে হারানোর শোকে একটু হলেও প্রলেপ দিতে পারে।