অরিজিৎ সিংয়ের ব্যাক্তিগত জীবন কাহিনী বলিউড সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে
অরিজিৎ সিং নামটা আমাদের সকলের কাছে পরিচিত এবং শুধুমাত্র ইন্ডিয়াতে নয় মানুষটি সকলের ভালোবাসার পাত্র হয়ে উঠেছেন। আর তা হবে নাই বা কেন তিনি এত সুন্দর মনের ভেতর থেকে গান করেন যে কোন মানুষের মন খারাপ থাকলে তা দু মিনিটের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। অরিজিৎ সিং মুর্শিদাবাদের ছোট্ট একটি মফস্বল জিয়াগঞ্জের ছেলে। তিনি একজন বাঙালি গায়ক। বড় থেকে ছোট শুরু করে আমরা প্রত্যেকেই তার গানে মত্ত। বলিউডের এই গায়ক একাধিক স্যাড সং গেয়েছেন।
ছোট থেকেই অরিজিতের গান বাজনার প্রতি ছিল অমোঘ টান। তার প্রথম গুরু ছিলেন পন্ডিত রাজেন্দ্র প্রসাদ হাজারী। 2005 সালে সনি এন্টারটেইনমেন্ট চ্যানেল এ ফেম গুরুকুল নামে একটি শো থেকে তার জীবনে যাত্রা শুরু হয়। সেখানেই তিনি শেষ পর্যন্ত থাকতে না পারলেও জীবনের একটা ধাপ তিনি সেখানে এগিয়ে গিয়েছিলেন। কারণ এর পরেই তার কাছে অফার আসে আশিকি টু সিনেমা তে তুম হি হো গানটা করবার জন্য। আর এই তুম হি হো গানটি চারিদিকে রাতারাতি হইচই ফেলে দেয়। তারপর অরিজিত কে আর কখনো ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর তিনি অসংখ্য হিট গান দর্শকদের উপহার দিয়েছেন।
তবে তার প্রফেশনাল জীবন এত সুন্দর হলেও পার্সোনাল জীবনে অনেক উতরাই চড়াই গিয়েছে। তারেই প্রেমকাহিনী নিয়ে সিনেমা হয়ে যাবে।
তিনি গুরুকুলের এক প্রতিযোগী রূপরেখা ব্যানার্জিকে বিয়ে করেন কিন্তু সেই বিয়ের সুখের হলো না কিছু বছরের মধ্যেই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর অরিজিতের ভরসা হলো তার সেই ছোটবেলার বান্ধবী। কোয়েল অরিজিতের একদম ছোটবেলার বান্ধবী। কোয়েলের প্রথম বিবাহ একদমই সুখের ছিল না কোয়েলের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। কথায় রয়েছে না যার হয় সেই বোঝে। এখানকার ঘটনাটাও ঠিক তাই ঘটল দুজন দুজনকে বুঝবার জন্য আর কোনো ভালো সঙ্গি হয়ত হয়না। তারা আবার গাঁটছড়া বাঁধলেন এবং সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছেন। দুজনেই ভীষণ মাটির মানুষ, ভীষন শান্ত প্রকৃতির তারা। সাধারণত তারা মিডিয়া থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতেই ভালোবাসেন।