‘১০০ কোটি দরকার আমার, পাশে চাই আপনাদের’, লাইভ কনসার্টে ভক্তদের উদ্দেশ্যে বার্তা অরিজিৎ সিংয়ের

ফের একবার সকলের মন জয় করলেন অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। সরলতা দিয়ে বরাবরই তিনি জয় করে এসেছেন অসংখ্য মানুষের মন। তাকে নিয়ে আশাকরি নতুন করে বলার কিছু নেই। তার সহজ-সরল জীবনযাত্রা বরাবরই মুগ্ধ করে এসেছে সকলকে। আর তাইতো মাটির মানুষ হিসেবেই তাকে সবাই চেনেন। জিয়াগঞ্জ যে তার প্রাণের জায়গা তা প্রায় সকলেই জানেন। মুম্বাইয়ের সবচেয়ে ব্যস্ততম গায়কদের মধ্যে তিনি হলেন একজন।
তবে, এত প্রভাব, প্রতিপত্তি ও ঐশ্বর্য থাকা সত্ত্বেও তিনি অতি সাধারণভাবে জীবন-যাপন করেন। আর তার প্রমান মিলেছে বহুবার। বাংলা হোক বা হিন্দি সব ক্ষেত্রেই তার গান সুপার-ডুপার হিট। সিনেমা হিট হোক বা না হোক অরিজিৎ র গান এককথায় হিট। তার ভক্তের সংখ্যা অগণিত। তাকে একটিবার দেখার জন্য যে কত মানুষ পাগল তার কোনো ইয়াত্তা নেই।
বাংলা ও হিন্দি গানের জগতের এক উজ্জ্বলতর নক্ষত্র হলেন এই অরিজিৎ। ২০০৫ সালে ‛ফেম গুরুকুল’ র ব্যর্থ প্রতিযোগী থেকে হয়ে ওঠেন সঙ্গীত জগতের অন্যতম সেরা শিল্পী। তবে, এই পথটা মোটেই সহজ ছিল না। তারজন্য পেরোতে হয়েছে অনেক চড়াই উতরাই পথ। ‛আশিকি টু’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথম ব্রেক পান। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। একের পর এক গান দিয়ে মুগ্ধ করেছেন ভক্তদের।
এখনকার দিনে দাঁড়িয়ে দেশের অন্যতম সেরা গায়কদের মধ্যে একজন হলেন অরিজিৎ সিং। বরাবরই মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান অরিজিৎ। এমনকি তারই মতো তার সন্তানদেরও বড় করে তুলছেন অতি সাধারণভাবে। আর তাইতো মুম্বাইয়ের এতো নামীদামী স্কুল থাকতে ছেলেকে ভর্তি করেছেন মুর্শিদাবাদের স্কুলে। তার সামাজিক নানান কর্মকান্ডের কথা কারোরই অজানা নয় নিশ্চই।
কিছুদিন আগেই তাকে জিয়াগঞ্জের মানুষের জন্য বিনামূল্যে ইংরেজি শেখানোর ক্লাস শুরু করতে দেখা গিয়েছিল। আর তিনি এবার একটি স্কুল গড়ে তুলতে চান। সম্প্রতি একটি কনসার্টে সেই নিয়েই কথা বললেন অরিজিৎ। তিনি জানান যে, ‛এই স্কুলটি তৈরি করতে গেলে ১০০ কোটি টাকা লাগবে। তার কাছে কোনো স্পন্সর নেই। এমনকি তিনি কোনো সাহায্যও চান না। তিনি শুধু এটুকুই চান যে মানুষ তার পাশে থাকুক’।
View this post on Instagram
এমনকি সেদিনের ওই মঞ্চ থেকে অরিজিৎ আরও বলেছেন যে, ‛স্বামী বিবেকানন্দ তার আদর্শ। আর সেই আদর্শকেই অনুসরণ করে তিনি জীবন পথে এগিয়ে যেতে চান’। ফের একবার এভাবেই অনুরাগীদের মনজয় করে নিলেন অরিজিৎ।